সমর্থকদের বিক্ষোভ, পেত্রাতোসের গোলেও ‘নীরবতা’, বাগানের জয়ে শিল্ড ফাইনালে ‘ডার্বি’

ঘটনাবহুল ম্যাচ। সমর্থকদের অভিনব প্রতিবাদ, পেত্রাতোস গোল করেও উচ্ছ্বাসহীন, আত্মঘাতী গোল, সঞ্জীব গোয়েঙ্কার বিরুদ্ধে স্লোগান, বিক্ষোভ, পুলিশের লাঠিচার্জ- সব কিছু ছাপিয়ে একটাই সত্যি- আইএফএ শিল্ডের ফাইনালে কলকাতা ডার্বি।কিশোর ভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ইউনাইটেড স্পোর্টসকে ২-০ গোলে হারিয়ে আইএফএ শিল্ডের ফাইনালে চলে গেল মোহনবাগান। ফলে শিল্ডের ফাইনালে শনিবার লাল হলুদ বনাম সবুজ মেরুন।এদিন অবশ্য ড্র করলেই ফাইনালে চলে যেত মোহনবাগান, তবু জয়ের জন্যই ঝাঁপায় দল।
দলে একাধিক পরিবর্তন করেন মোলিনা। পাঁচজন জাতীয় দলে। মনবীরের চোট। ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে দলে সাতটি পরিবর্তন করেন বাগান কোচ। দীর্ঘদিন পর প্রথম একাদশে ফেরেন দিমিত্রি। রবসন রবিনহো, জেসন কামিংস এবং দিমিত্রি পেত্রাতোসকে নিয়ে ইউনাইটেড স্পোর্টসের বিরুদ্ধে আক্রমণ ভাগ সাজিয়েছিলেন হোসে মোলিনা৷ ম্যাচের শুরুতে এলোমেলোই দেখাচ্ছিল সবুজ মেরুন ব্রিগেডকে। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে আক্রমণও শানাচ্ছিল ইউনাইটেড।ম্যাচের ৪৫ মিনিটে দিমিত্রির গোলে এগিয়ে যায় মোহনবাগান। রবসনের পাস থেকে কামিন্সের মাইনাস। পায়ের জটলার মধ্যে থেকে গোল করেন দিমিত্রি। গোল করেও কোনও সেলিব্রেশন নেই অজি তারকার। উৎসবে মাতেনি দলও। যেন অদ্ভুত নীরবতা। ১-০ গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় মোহনবাগান। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই দ্বিতীয় গোল তুলে নিয়ে ম্যাচ পকেটে পুরে ফেলে মোলিনার ছেলেরা। তবে মোহনবাগানের দ্বিতীয় গোলটি আত্মঘাতী. ৪৯ মিনিটে কামিন্সের শট ইউনাইটেড গোলরক্ষক চাপড়ে বাঁচালে তা আগুয়ান অঙ্কন ভট্টাচার্যের পায়ে লেগে জালে জড়িয়ে যায়। দু’টো গোল ছাড়া মোহনবাগানের খেলায় নজরকাড়া কিছু নেই।
সামনেই শিল্ড জয়ের হাতছানি। ডার্বির আবেগ। তবু ইরানে খেলতে না যাওয়ায় রাগ কমছে না সবুজ মেরুন সমর্থকদের।শুরুতে মাঠের ভেতরে কোনও পোস্টার, প্ল্যাকার্ড নিয়ে ঢুকতে দেয়নি। তবে মাঠের বাইরে এদিনও পোস্টার পড়ে। ‘কাওয়ার্ড গোয়েঙ্কা, কাওয়ার্ড বিনয়, কাওয়ার্ড দিমি’ পোস্টার হাতে বিক্ষোভ দেখান সমর্থকরা। গ্যালারিতে পোস্টারে লেখা ছিল, ‘শিরদাঁড়া বিক্রি নেই’। কিশোরভারতী স্টেডিয়ামে ফের মোহনবাগান ম্যানেজমেন্টের উদ্দেশে বিক্ষোভ কমল না ম্যাচ জয়ের পরেও। ম্যানেজমেন্টের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে দেখা যায় তাঁদের। পুলিশ গিয়ে সমর্থকদের সরিয়ে দেন।