১০ বছর পর! সাগ্নিকের হ্যাটট্রিকে সাব জুনিয়র ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন বাংলা, শুভেচ্ছা ক্রীড়ামন্ত্রীর

কে বলে, বাংলায় হারিয়ে যাচ্ছে ফুটবল প্রতিভা! কে বলে, বাংলায় ফুটবলের আবেগ ‘ডার্বি’র লড়াইয়েই সীমাবদ্ধ! রবি হাঁসদারা সন্তোষ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সে’কথা আগেই ভুল প্রমাণ করেছিল। এ বার দাদাদের পথেই হাঁটল ভাইয়েরা। ১০ বছর পর সাব জুনিয়র জাতীয় ফুটবল প্রতিযোগিতায় সেরার খেতাব এল বাংলাতেই। বৃহস্পতিবার পঞ্জাবের অমৃতসরের শ্রী গুরু হরগোবিন্দ সাই স্টেডিয়ামে ফাইনালে বাংলা ৩-০ গোলে হারালো দিল্লিকে। গোটা টুর্নামেন্টে গোলের মধ্যে থাকা সাগ্নিক কুণ্ডু এদিনও হ্যাটট্রিক করেন। ফলে, ম্যাচের নায়ক সাগ্নিকই। এর আগে সেমিফাইনালে মণিপুরকে ৩-২ হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছয় বাংলা দল। বাংলার কোচ গৌতম ঘোষ এই সাফল্যের কৃতিত্ব দিয়েছেন ফুটবলারদের। গৌতম ঘোষ বলেন, ‘এই সাফল্য আমাদের ফুটবলারদের কঠোর পরিশ্রম এবং আত্মবিশ্বাসের ফল। প্রতিটি খেলোয়াড়ই তাদের সেরাটা দিয়ে খেলেছে। আমরা এক দল হিসেবে সত্যিই গর্বিত।’ আইএফএ সচিব অনির্বাণ দত্ত চ্যাম্পিয়ন দলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
সন্তোষ ট্রফিতে সাফল্য দিয়ে বছর শুরু হয়েছিল বাংলার ফুটবলের। বছরের শেষ ভাগে এসে সাব জুনিয়র জাতীয় ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন খেতাব বাংলা ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের মুকুটে আর একটা পালক যোগ হল।দিল্লিকে হারিয়ে বাংলা অনূর্ধ্ব ১৪ সাব জুনিয়র ন্যাশনাল ফুটবল চ্যাম্পিয়ন হওয়ায়, ক্রীড়া মন্ত্রী অরুপ বিশ্বাস বাংলার খেলোয়াড়, কোচ, সাপোর্ট স্টাফ ও কর্মকর্তাদের অভিনন্দন জানিয়েছেন। ফুটবলারদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের কামনা করেছেন তিনি।অরূপ বিশ্বাস বলেন, ‘অনূর্ধ্ব ১৪ সাব জুনিয়র ন্যাশনাল ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলা ৩-০ গোলে দিল্লিকে হারিয়ে দীর্ঘ ১০ বছর পর আবার ভারত সেরা হল। বাংলার এই দলে নিয়মিত প্রথম একাদশে মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের ‘বেঙ্গল ফুটবল একাডেমি’ থেকে পাঁচ ফুটবলার প্রতিনিধিত্ব করেছে। তারা হল অতনু মুর্মু (মিডিও), উরচিন সাহা (গোলকিপার), সবুজ মন্ডল (সেন্ট্রাল ব্যাক), সৌম্যদীপ বারুই (সেন্টাল ব্যাক), সুমন গুইন (গোলকিপার)। ভারত সেরা হওয়ার জন্য বাংলার খেলোয়াড়, কোচ, সাপোর্টিং স্টাফ ও কর্মকর্তাদের জানাই আন্তরিক অভিনন্দন। একইসঙ্গে শুভেচ্ছা রইল অনুর্ধ-১৪ ফুটবলারদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য’।
