নীরবে গায়িকা পলক মুচ্ছল জীবন বাঁচিয়েছেন ৩৮০০ শিশুর! তারই স্বীকৃতি গিনেস বুকে ও লিমকা রেকর্ডসে

0

মানুষ মানুষের জন্যে…। পলক মুচ্ছল সে কথা মানেন। আর তাই ব্যস্ত সময়, একের পর এক কনসার্ট, প্লে-ব্যাক, সংসার জীবন সবকিছুর পরেও শিশুদের জন্য তাঁর মন কাঁদে। তিনি পলক মুচ্ছল। ইন্দোরে জন্ম নেওয়া এই শিল্পী শুধু সুরের জাদু ছড়াননি, ছুঁয়ে গেছেন অসংখ্য মানুষের হৃদয়ও। মানবসেবার এক বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে শ্রোতাদের মন জয় করলেন বলিউডের জনপ্রিয় প্লেব্যাক গায়িকা পলক মুচ্ছল।আর তাতেই নাম উঠল গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস ও লিমকা বুক অফ রেকর্ডসে।সংগীতজীবনের প্রতিটি উপার্জন, প্রতিটি মঞ্চ, প্রতিটি করতালির প্রতিধ্বনি যেন পরিণত হয়েছে নতুন জীবনের আশায়।

পলকের ব্যক্তিগত উদ্যোগেই এই পর্যন্ত ৩,৮০০ জনেরও বেশি দুঃস্থ শিশুর হার্ট সার্জারি সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। স্বীকৃতিস্বরূপ তাঁর নাম উঠেছে রেকর্ডের পাতায়। গান গেয়ে উপার্জন করা টাকা দিয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত শিশুদের সাহায্য করেন পলক মুচ্ছল। নিজে তারকা হয়েও এতদিন নিঃশব্দেই দুঃস্থদের পাশে থেকে করে এসেছেন এই মানবসেবা। হাসি ফুটেছে অসহায়-অসুস্থ শিশুদের জীবনে।গায়িকার ‘পলক পলাশ চ্যারিটেবল ফাউন্ডেশনে’র মাধ্যমে ৩ হাজারেরও বেশি দুস্থ শিশুর হার্ট সার্জারি করা হয়েছে।


পলকের যখন বছর সাত বয়স, তখন ট্রেনে এক জায়গায় যাওয়ার পথে কিছু দুঃস্থ শিশুকে দেখে তার জীবনের ভাবনা বদলে যায়। সেদিন তিনি মনে মনে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন, ‘আমি একদিন ঠিক এই মানুষগুলোর পাশে দাঁড়াব।’ পরে সেই প্রতিজ্ঞা থেকে জন্ম নেয় ‘পলক পলাশ চ্যারিটেবল ফাউন্ডেশন’। বাড়িয়ে দেয় সাহায্যের হাত। একটি স্কুল পড়ুয়ার হার্ট সার্জারির জন্য প্রায় ৫১ হাজার টাকা সংগ্রহের মাধ্যমে পলকের হার্ট ফাউন্ডেশনের যাত্রা শুরু। এরপর দীর্ঘ পথ অতিক্রম। শুধু হার্ট সার্জারিই নয়, ছোট্ট পলক কার্গিল যুদ্ধে আহত জওয়ানদের চিকিৎসার জন্য রাস্তায় নেমে গান গেয়ে  ২৫ হাজার টাকা তুলেছিলেন!

পলকের এই মানবিক উদ্যোগে সবসময় তাঁর পাশে থেকেছেন তাঁর স্বামী তথা বলিউডের জনপ্রিয় কম্পোজার মিথুন। পলক মুচ্ছলকে এতদিন  ‘কৌন তুঝে’, ‘মেরি আশিকি’, ‘প্রেম রতন ধন পায়ো’র মতো একাধিক হিট গানের গায়িকা হিসেবেই চিনে এসেছেন শ্রোতারা। এ বার যে তাঁর অন্য রূপও দেখল। তাতে মুগ্ধ শ্রোতারা। ভেসেছেন শুভেচ্ছার জোয়ারে।

About The Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *