বাড়ছে ধোঁয়াশা, বদলাচ্ছে ইডেন পিচের চরিত্র! ম্যাচের দিনই চূড়ান্ত দল গড়বেন অধিনায়ক গিল
গোলাপি টেস্টের পর আবার। মাঝে প্রায় ৬ বছর কেটে গেছে। ক্রিকেটের নন্দনকানন প্রস্তত। তৈরি তরুণ শুভমনের নেতৃত্বে ভারতীয় দলের লড়াই দেখতে। শুভমন প্রস্তুত তো! তাঁর যে মনে হচ্ছে বারবার চরিত্র বদলাচ্ছে ইডেনের পিচ। তাতেই যেন ধন্দ বাড়ছে। সূত্রের খবর, ভারতীয় দলের কোচ গৌতম গম্ভীর স্বয়ং পিচ কিউরেটরের কাছে আর্জি জানিয়েছেন স্পিন পিচ করার জন্য। তা আদৌ হচ্ছে তো? বারবারই পিচ পরীক্ষা করে দেখছেন টিম ইন্ডিয়ার কেউ না কেউ। পিচ শেষ পর্যন্ত কীরকম আচরণ করবে, তা নিয়ে ২৪ ঘণ্টা আগেও ধোঁয়াশা কাটেনি। তাই টিমের একাদশের খসড়া করা থাকলেও চূড়ান্ত হয়নি। ঠিক হয়েছিল, তিন স্পিনার অলরাউন্ডার ও দুই পেসার খেলানো হবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে। দুই পেসার হিসাবে যশপ্রীত বুমরা ও মহম্মদ সিরাজের খেলা নিশ্চিত।
সূত্রের খবর, ভারতীয় দলের কোচ গৌতম গম্ভীর স্বয়ং পিচ কিউরেটরের কাছে আর্জি জানিয়েছেন স্পিন পিচ করার জন্য। তা আদৌ হচ্ছে তো? বারবারই পিচ পরীক্ষা করে দেখছেন টিম ইন্ডিয়ার কেউ না কেউ। পিচ শেষ পর্যন্ত কীরকম আচরণ করবে, তা নিয়ে ২৪ ঘণ্টা আগেও ধোঁয়াশা কাটেনি। তাই টিমের একাদশের খসড়া করা থাকলেও চূড়ান্ত হয়নি। ঠিক হয়েছিল, তিন স্পিনার অলরাউন্ডার ও দুই পেসার খেলানো হবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে। দুই পেসার হিসাবে যশপ্রীত বুমরা ও মহম্মদ সিরাজের খেলা নিশ্চিত।

আর তিন স্পিনার বলতে, তিন অলরাউন্ডারকেই খেলানোর ভাবনার কথা বলেছিলেন সহকারী কোচ। রবীন্দ্র জাদেজা, ওয়াশিংটন সুন্দর ও অক্ষর প্যাটেল। সব ঠিক থাকলে এই কম্বিনেশনেই নামবে ভারত। পরিস্থিতি বুঝে, আকাশ দীপ বা কুলদীপ যাদব দলে ঢুকতেই পারেন। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলনে ভারত অধিনায়ক শুভমন গিল বলেন, ‘একাদশ প্রায় চূড়ান্ত৷ পিচ গতকালের তুলনায় খানিকটা আলাদা মনে হচ্ছে৷ ম্যাচের দিন সকালেই কম্বিনেশন চূড়ান্ত হবে৷ তবে স্পিনাররাই যে কমবেশি ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করবে সেটা পরিষ্কার৷ তবে পরিবেশ অনুযায়ী ও প্রতিপক্ষের শক্তি ভেবে ম্যাচ যে কঠিন চ্যালেঞ্জ তা মনে করছেন তিনি। শুভমন বলেন, ‘আমরাও ভিন্ন দেশ থেকে এখানে এসেছি। ব্যাপারটা মানিয়ে নেওয়া সহজ নয়। টেস্ট ক্রিকেট চ্যালেঞ্জ আলাদা।
দক্ষিণ আফ্রিকা খুবই ভালো দল। তাই আমাদের জন্য কঠিন মুহূর্তও আসবে। কিন্তু আমরা জানি কীভাবে এটা সামলাতে হয়’। আর কলকাতা নিয়েও প্রশংসা শোনা যায় গিলের মুখে। কারণ, আইপিএলে তাঁর প্রথম ফ্র্যাঞ্চাইজি কলকাতা নাইট রাইডর্স হওয়ায় ইডেনের সঙ্গে অনেক স্মৃতিও জড়িয়ে। ভালভাবেই জানেন কলকাতার ক্রিকেটপ্রেমীদের আবেগ। তিনি বলেন, ‘কলকাতায় আমার অনেক ভাল স্মৃতি রয়েছে। আইপিএলে কেকেআরে খেলার সময় থেকে সুখকর স্মৃতি। ঠিক যেরকম পঞ্জাবের পিএসসি স্টেডিয়ামের সঙ্গে স্মৃতি জড়িয়ে আছে। এখানে রঞ্জি খেলতেও এসেছিলাম বাংলার বিরুদ্ধে। ছ’বছর আগে শেষ টেস্ট ম্যাচে স্কোয়াডে থাকলেও খেলিনি ৷ প্রথমবার ইডেনে টেস্ট খেলতে নামব। দেশের হয়ে নেতৃত্ব দিতে চলেছি। তাই বলতেই হচ্ছে অবশ্যই মুখিয়ে আছি’।
