দেড় লাখের দেশও বিশ্বকাপে! ৫২ বছর পর স্বপ্ন সফল সোনি নর্ডির দেশেরও, ভারত শুধুই দর্শক!
ভারত, ১৪৫ কোটিরও বেশি প্রায় জনসংখ্যা নিয়ে যখন ৪৭ ধাপ পিছনে থাকা বাংলাদেশের কাছে ফুটবলে হেরে যায়, তখন বিশ্বকাপে জায়গা করে নিয়ে তাক লাগিয়ে দেন বিশ্বের অতি ক্ষুদ্রতম জনসংখ্যার দেশ। হ্যাঁ, এটাই সত্যি। ক্যারিবিয়ান সাগরের ছোট্ট দ্বীপরাষ্ট্র কুরাসাও। তারাই এ বার বিশ্বকাপ খেলবে। গত জানুয়ারিতে কুরাসাওয়ের সেন্ট্রাল ব্যুরো অব স্ট্যাটিসটিকসের তথ্য অনুযায়ী, ৪৪৪ বর্গকিলোমিটার দেশটার জনসংখ্যা ১ লাখ ৫৬ হাজার। বিশ্বকাপে জায়গা করে নেওয়া সবচেয়ে কম জনসংখ্যার দেশ এটাই।ফিফা ক্রমতালিকায় এখন তারা আছে ৮২ নম্বরে। ভারত রয়েছে ১৩৬ নম্বরে। কুরাকাওয়ের ফুটবল টিম পরিচিত ‘ব্লু ওয়েভস’ নামে। ২০১০ সালে ফিফার সদস্যপদ অর্জন করে তারা। ১৫ বছরের মধ্যে বিশ্বকাপ খেলাটা স্বপ্নের মতোই। যা ভারতের কাছে আজও দুঃস্বপ্নই।
বিশ্বকাপ বাছাইয়ে জামাইকার সঙ্গে গোল-শূন্য ড্র করে ইতিহাসের পাতায় নাম লিখিয়েছে কুরাসাও। বিশ্বের সবচেয়ে ছোট আয়তনের দেশটা এখন খেলবে বিশ্বকাপ। ক্যারিবিয়ান সাগরে, দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ভেনেজুয়েলার ঠিক উত্তরে অবস্থান কুরাসাওয়ের। ভৌগোলিকভাবে দক্ষিণ আমেরিকার কাছাকাছি হলেও খেলাধুলোয় তারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে কনকাকাফ অঞ্চলের দেশগুলোর সঙ্গে। দেশটা প্রধানত ২টি দ্বীপ নিয়ে গঠিত-একটা হলো মূল কুরাসাও দ্বীপ, আর অন্যটা জনবসতিহীন ‘লিটল কুরাসাও’। কুরাসাও এই পথে পেছনে ফেলল ২০১৮ বিশ্বকাপে ইতিহাস গড়া আইসল্যান্ডকে। ৩ লাখ ৯৮ হাজার ২৬৬ জনসংখ্যার দেশ আইসল্যান্ড এত দিন ক্ষুদ্রতম দেশ হিসেবে বিশ্বকাপে খেলার রেকর্ড ধরে রেখেছিল।
এবারে দ্বিতীয় ক্ষুদ্রতম দেশ হিসেবে বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে ৫ লাখ ২৫ হাজার মানুষের দেশ কেপ ভার্দেও। কনকাকাফ অঞ্চলের এই বাছাইপর্বে ‘ডি’ গ্রুপ থেকে নিকারাগুয়াকে ২-০ গোলে হারিয়ে নজির গড়েছে সোনি নর্ডির দেশ হাইতিও। হাইতি ৫২ বছর পর বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে। শেষ তাঁরা খেলেছে ১৯৭৪ বিশ্বকাপে। সেটাই প্রথম বিশ্বকাপে খেলা হাইতির। ৬ ম্যাচে ১১ পয়েন্টে ‘সি’ গ্রুপে শীর্ষস্থান নিয়ে বিশ্বকাপে খেলার টিকিট পেল হাইতি। ‘এ’ গ্রুপ থেকে এল সালভাদরকে ৩-০ গোলে হারিয়ে নিজেদের ফুটবল ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে পানামাও।
