১৮০ ডিগ্রি ঘুরে শিবির বদলে ফেললেন মোহনবাগান রত্ন প্রসূন

একবার মোহনবাগান, পরক্ষণেই ভবানীপুর। দেবাশিস দত্ত টু সৃঞ্জয় বসু। পয়লা বৈশাখ থেকেই পক্ষে-বিপক্ষে দুই শিবিরেই বল নিয়ে ছুটছেন প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি যত ছুটছেন, ততই ধোঁয়াশা বাড়ছে। তিনি যত ছুটছেন, ততই বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। মোহনবাগান রত্ন প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় এবারের নির্বাচনে কোন পক্ষে? প্রসূন ভাঙবেন তবু মোচকাবেন না। তাঁর মুখে একটাই কথা ‘আমি সবাইকে নিয়ে চলার পক্ষে। মোহনবাগান একটা পরিবার’। অমোঘ কথাটাই বলেছেন প্রসূন।
একসময় বসু-মিত্র পরিবারের সঙ্গে একদমে কাজ করে গেছেন দেবাশিস দত্ত। কালের নিয়মে বদলেছে অনেক কিছুই। টুটু বসু-অঞ্জন মিত্রের বন্ধুত্বে যেমন চিড় ধরতে দেখেছে সবুজ মেরুন ভক্তরা, তেমনই দেখেছেন বন্ধু থেকে শত্রু হয়ে উঠতে দেবাশিস-সৃঞ্জয়কে।
এবারের পরিস্থিতি জটিল হয়েছে কারণ বাগানের মসনদে ফিরতে যেমন সৃঞ্জয়, তেমনই কাজের নিরিখে মসনদ ধরে রাখতে চান দেবাশিস দত্তও। রাজনীতির উর্দ্ধে উঠলে কোন পক্ষে কে থাকবেন, তা ভেবে পাওয়া বেশ দুষ্করই। কারণ, মোহনবাগানের ভালোর জন্য, সুনামের জন্য বসু পরিবারের যেমন অবদান আছে, তেমনই দেবাশিস দত্তও দীর্ঘদিন তা করে আসছেন।
প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রথমদিকে হাওড়ায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দেবাশিস দত্তের জয়গান করতেই দেখা গিয়েছিল। সবাইকে অবাক করেই গত সপ্তাহেই রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ রায়ের সঙ্গে হাওড়ায় তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে টুটু বসুদের সমর্থনে দেখা যায়। যেখানে অরূপ রায় ঘোষণাই করে দেন, উপরমহলের নির্দেশে এই প্রচার শুরু।কিন্তু কয়েকদিন যেতে না যেতেই ভোলবদল। তোমাকে চাই ব্যানার ছেড়ে এক্কেবারে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গেলেন প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার দেবাশিস দত্তের পাশে বসেই অংশ নিলেন সাংবাদিক সম্মেলনে। মাথার ওপর আবার অঞ্জন মিত্রের ছবি দেওয়া ব্যানার। তাহলে কোন পক্ষে থাকবেন? আবার পাল্টে যাবেন না তো! গ্যারান্টি কিছুতেই দেননি। হাওয়া বুঝেই হয়তো শিবির বদল। প্রসূন মুখে বললেন, ‘মোহনবাগান দিনের শেষে একটা পরিবার’। তবে এও বলেন, যারা কাজ করছে তাদের পক্ষেই থাকতে চান তিনি। তিনি তো এমপিও। তাহলে যে উপরওয়ালার নির্দেশ? দেবাশিস দত্তই ব্যাপারটা মোড় ঘুরিয়ে দিলেন। বললেন, ‘এটা ভগবানের কথা বলেছেন’।