নতুন ২ ভ্যারিয়ান্টের প্রকোপ, বাংলা সহ দেশে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা
ট্রেন্ডিং: আতঙ্ক যেন ফিরে আসছে। আবার করোনা! সোমবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এক হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। মূলত তিনটি রাজ্যে সংক্রমণের হার সবচেয়ে বেশি। বাদ যায়নি বাংলাও। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গেছে, এই রাজ্যে সোমবার বিকেল পর্যন্ত কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ১৮ ।স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুসারে এই মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি করোনা আক্রান্ত রাজ্যের কেরল। কেরলে অ্যাকটিভ আক্রান্তের সংখ্যা ৪৩০, এরপর রয়েছে মহারাষ্ট্র।
সেখানে অ্যাকটিভ আক্রান্তের সংখ্যা ২০৯, দিল্লিতে আক্রান্তের সংখ্যা ১০৪, গুজরাটে ৮৩, তামিলনাড়ুতে ৬৯ এবং কর্ণাটকে ৪৭ জন। উত্তর প্রদেশে ১৫ জন, রাজস্থানে ১৩ জন, পদুচেরিতে ৯ জন, হরিয়ানায় ৯ জন, অন্ধ্রপ্রদেশে ৪ জন, মধ্যপ্রদেশে ২ জন, ছত্তিশগড়ে ১ জন, গোয়ায় ১ জন এবং তেলেঙ্গানায় ১ জন করে আক্রান্তের খবর মিলেছে। ফলে, প্রতি রাজ্যেই ছড়াচ্ছে করোনার প্রকোপ।
https://www.instagram.com/reel/DKHmGvFyPSo/?igsh=c2doZXhmcXp3MmM1
রাজ্যের আক্রান্তদের মেডিক্যাল কলেজ ছাড়াও বিভিন্ন জেলা হাসপাতাল ও ই এম বাইপাসের ধারে বেসরকারি হাসপাতালে বেশ কয়েকজন ভর্তি হয়েছেন বলে স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে। তবে কারোর অবস্থাই আশঙ্কাজনক নয় বলে দপ্তর সূত্রে কোভিড নিয়ে এখনই আশঙ্কার কোনো কারণ নেই বলে রাজ্য সরকার জানিয়েছে। স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন সব দিকে নজর রাখা হচ্ছে। সচেতনতার পাশাপাশি সবাইকে সাবধানতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। যে কোন পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে বলেও তিনি জানিয়েছেন। এই সংক্রমণের বৃদ্ধি মূলত ওমিক্রনের উপ-ভ্যারিয়েন্ট এনবি.১.৮.১ এবং এলএফ.৭ এর কারণে বলে মনে করা হচ্ছে। হু জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এনবি.১.৮.১ ভ্যারিয়ান্টটি তত বিপজ্জনক নয়। এই স্ট্রেনে আক্রান্ত রোগীদের স্বাস্থ্যের দিক থেকে ঝুঁকিও কম। খুবই সাধারণ উপসর্গেই করোনা পজিটিভ হওয়ার লক্ষ্মণ দেখা যাচ্ছে। উপসর্গগুলির মধ্যে রয়েছে জ্বর, সর্দি, গলা জ্বালা, মাথা যন্ত্রণা, অতিরিক্ত ক্লান্তি, গাঁটে গাঁটে ব্যথা, পেশিতে ব্যথা, গ্যাস, অম্বলের সমস্যা। বিশেষজ্ঞদের মতে, এখনই আতঙ্কের কোনও কারণ নেই। তবে সাবধানতা প্রয়োজন।