বিশ্বকাপ খেলতে জর্ডন – উজবেকিস্তান পারে আর ১৫০ কোটির ভারত ভাবতেই পারে না!

0

স্পোর্টস ডেস্ক: আর কবে, আর কবে, আর কবে?
এই প্রশ্ন তুলতেই পারেন কোটি কোটি ভারতবাসী। জর্ডন পারে, উজবেকিস্তান পারে, ভারত ভাবতেও পারে না। আগামী বছর যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো ও কানাডায় ৪৮ দলের বিশ্বকাপ হবে। ১৫০ কোটির মানুষের দেশ প্রথম ৫০-এও থাকতে পারে না! ভারতীয় ফুটবল ভক্তরা হতাশ। এটাই এখন দস্তুর। ভারতের কাছে আজও স্বপ্নটা স্বপ্নই। ১৯৫১ থেকে ১৯৬২ সাল পর্যন্ত সময়কে ভারতীয় ফুটবলের ‘স্বর্ণযুগ’ বলা হয়। কিন্তু সেই কবে ঘি খেয়েছে, তার গন্ধ শুঁকছে, এমনটাই বলছেন নেটিজেনরা।ভারতের সেই সাফল্যের গ্রাফটা ক্রমশই নিম্নমুখী। আইএসএল করেও উন্নতি হয়নি, গ্রাসরুট লেভেল করেও উন্নতি হয়নি, বিদেশি কোচ এনেও উন্নতি হয়নি। নেটিজেনদের চোখে লাগারই কথা, কারণ সম্প্রতিই ভারত হেরেছে, থাইল্যান্ডের মতো পুঁচকে দেশের কাছেও। তারাও এগিয়ে গেছে ভারতের চেয়ে।

একইদিনে বিশ্বকাপের মূলপর্বে চলে গেছে এশিয়ার তিন দেশ৷ তার মধ্যে প্রথমবার জর্ডন ও উজবেকিস্তান৷ সেইসঙ্গে বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন করেছে দক্ষিণ কোরিয়াও। এশিয়ার প্রথম দুই দেশ হিসেবে জাপান, ইরান আগামী বছর বিশ্বকাপের মূলপর্বে পৌঁছে গিয়েছিল আগেই৷ কিন্তু এবার সত্যিই চমকে দিয়েছে উজবেকিস্তান আর জর্ডন।উজবেকিস্তানের কাছে সমীকরণ সহজ ছিল। সংযুক্ত আরব আমিরশাহির কাছে না হারলেই হতো। সেটাই হয়েছে। গোলশূন্য ড্র করে বিশ্বকাপে জায়গা পাকা করে ফেলেছে উজবেকিস্তান। দক্ষিণ কোরিয়া ২-০ গোলে ইরাককে হারিয়ে টানা এগারোবার বিশ্বকাপ খেলা নিশ্চিত করেছে। হিজাজি মাহের, যিনি ইস্টবেঙ্গলে এবারই খেলে গেছেন, সেই জর্ডনই বিশ্বকাপ নিশ্চিতের ম্যাচে ৩-০ গোলে হারিয়েছে ওমানকে। বিশ্ব র‍্যাঙ্কিংয়ে উজবেকিস্তান আছে ৫৭ নম্বরে। ৩ কোটি ৬০ লাখের দেশ ১৯৯২ সালে স্বাধীন দেশ হিসেবে প্রথম ম্যাচ খেলে। ২০২৫ সালেই সুযোগ এসে গেল বিশ্বকাপ খেলার। ধারাবাহিকভাবে উন্নতিই তার প্রমাণ। ১৯৯৬ থেকে প্রতিটি এশিয়ান কাপে খেলেছে। ২০০৪ থেকে প্রতিবারই নকআউটে উঠেছে।

জর্ডন বিশ্ব র‍্যাঙ্কিংয়ে ৬২তম। জর্ডনের জনসংখ্যা ১ কোটি ১৪ লাখের একটু বেশি। তারা ১৯৮৬ সাল থেকে সপ্তমবারের মতো বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে অংশ নিচ্ছে। চার দশকের মধ্যেই বিশ্বকাপের আসরে চলে গেল জর্ডন।আর সেখানে ভারত! ১৫০ কোটির দেশ ভারত এখনও ব্যর্থ। শুধু বিশ্বকাপের যোগ্যতাঅর্জন পর্বে অংশ নেওয়াটাই যেন কৃতিত্ব! উজবেক, জর্ডনের মতো দেশের তারকারাই ভারতে খেলতে আসে। অথচ সেই দেশই ক্রমশ তলানিতে। ২০১৮ সালে ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে উজবেকিস্তান ছিল ৯৫-এ। জর্ডন ছিল ১২২-এ। আর ওই বছর ভারতের র‍্যাঙ্কিং ছিল ৯৭। আর ২০১৫ সালে উজবেকিস্তান এগিয়ে চলে এসেছে ৫৭ নম্বরে, জর্ডন এগিয়ে চলে গেছে ৬২ নম্বরে আর ভারত পিছিয়ে নেমে গেছে ১২২-এ। ২০২৬ বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের তৃতীয় রাউন্ডেও এবার পৌঁছতে পারেনি ভারত। এমনই অবস্থা হয়েছে মার্চে এএফসি এশিয়ান কাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের ম্যাচে বাংলাদেশের বিরুদ্ধেও জিততে পারেনি। এমনকী সুনীল ছেত্রী যখন অবসরের ঘোষণা করেছিলেন, তখন কার্যত স্ট্রাইকার খুঁজে মিলছিল না। বাধ্য হয়ে অবসর ভেঙে ফিরে এসেছেন সুনীল। কিন্তু এভাবে কতদিন?

About The Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *