মুছল পতৌদির নাম, ভারত-ইংল্যান্ড সিরিজের নাম ‘অ্যান্ডারসন-তেন্ডুলকর ট্রফি’

ট্রফি থেকে মুছে গেল পতৌদির নাম। ভারত-ইংল্যান্ড সিরিজের ট্রফির নতুন নামকরণ হল অ্যান্ডারসন-তেন্ডুলকর ট্রফি। শুক্রবার থেকে সিরিজ শুরু। তার আগেই ট্রফির নতুন নামকরণ হয়ে গেল। এই ট্রফিই এবার জিতবে সিরিজের জয়ী দল। নতুন ট্রফির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনে হাজির ছিলেন শচীন তেন্ডুলকর ও জেমস অ্যান্ডারসন। ট্রফিতে শচীনের বিখ্যাত কভার ড্রাইভ এবং অ্যান্ডারসনের বোলিং অ্যাকশনের ছবি খোদাই করা রয়েছে, পাশাপাশি রয়েছে তাঁদের সইও। ট্রফিটা তৈরি হয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড ও ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের যৌথ উদ্যোগে। ২০০৭ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত সিরিজগুলিতে দেওয়া হত পতৌদি ট্রফি। আর ভারতে খেলা হত অ্যান্টনি ডি মেলো ট্রফি। এবার থেকেই দু’দেশের সিরিজেই ট্রফির একটাই নাম হবে অ্যান্ডারসন-তেন্ডুলকর ট্রফি। তবে একেবারে মুছে ফেলা হচ্ছে না পতৌদি পরিবারের নাম। সিরিজের বিজয়ী অধিনায়ককে ‘পতৌদি মেডেল’ প্রদান করা হবে বলে জানা গিয়েছে। যা নিয়ে অবশ্য বিতর্ক কম হয়নি এই কয়েকদিন।মাস্টার ব্লাস্টার স্পষ্ট জানিয়েছেন, পতৌদির ঐতিহ্যকে বাঁচিয়ে রাখতে সবরকমভাবে চেষ্টা করেছেন তিনি। শচীন তেন্ডুলকর এক সাক্ষাৎকারে জানান, ‘পতৌদি পরিবার ও তাদের ঐতিহ্যকে সম্মান জানাতে দু’পক্ষ মিলে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন’। জানা যায়, শচীনই ইংল্যান্ড বোর্ডকে অনুরোধ করেছেন, পতৌদির ঐতিহ্য বজায় রাখতে। পরে বিসিসিআইয়ের সঙ্গে শচীন এই বিষয়ে কথা বলেন। এরপরই হস্তক্ষেপ করেন আইসিসি চেয়ারম্যান জয় শাহ। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, সিরিজজয়ী অধিনায়কের হাতে তুলে দেওয়া হবে মেডেল অফ এক্সেলেন্স। পতৌদিকে সম্মান জানাতেই এই পুরস্কার দেওয়া হবে। শচীন এক সাক্ষাত্কারে বলেন, ‘পতৌদির ঐতিহ্য বাঁচিয়ে রাখা দরকার। ভারতীয় ক্রিকেটে পতৌদি পরিবারের অবদান অনস্বীকার্য। আমি তাঁর পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি। জয় শাহ, বিসিসিআই, ইসিবি-সকলের সঙ্গে কথা বলেছি। তারপরেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, পতৌদি মেডেল দেওয়া হবে সিরিজজয়ী অধিনায়ককে। তবে সিরিজের নামকরণের সিদ্ধান্ত পুরোপুরিভাবে দুই বোর্ডের’। তিনি আরও বলেন, ‘পতৌদি সিনিয়র ইংল্যান্ডের পাশাপাশি ভারতের হয়েও খেলেছে। টাইগার পতৌদি ভারতের অধিনায়ক ছিলেন। আমি ওদের খেলতে দেখিনি। কারণ আমি তখনও জন্মাইনি। তবে আমি গল্প শুনেছি। যা আমাদের অনুপ্রেরণা দেয়’।
