শচীন-বিরাটদের পজিশনে নেমে সেঞ্চুরি ক্যাপ্টেন শুভমনের, গড়লেন রেকর্ডও

0





ব্রিটিশদের ডেরায় স্পর্ধা। তারুণ্যের দাপট। যার সামনে থেকে প্রথম দিন নেতৃত্ব দিলেন শুভমন গিল। করলেন ঝকঝকে সেঞ্চুরি। করলেন রেকর্ড। গড়লেন ইতিহাস। রোহিত শর্মার ছেড়ে যাওয়া জুতোয় পা গলানোর জন্য তিনি যে যোগ্য প্রথম দিনই প্রমাণ করলেন। অধিনায়ক হয়ে এমন একটা জায়গায় ব্যাট করার দায়িত্ব নিয়েছেন, ভারত দলে যে জায়গাটা এর আগে সামলেছেন দুই মহারথী শচীন তেন্ডুলকর ও বিরাট কোহলি। অধিনায়ক হিসেবে অভিষেকের ম্যাচে সাবলীল ব্যাটিং করলেন শুভমন। হেডিংলি টেস্টের প্রথম দিন চার নম্বরে নেমে দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি উপহার দিলেন শুভমন। ক্যাপ্টেন্সি অভিষেক, সেই এমআরএফ ব্যাট এবং চার নম্বরে নেমে সেঞ্চুরি, হেলমেট খুলে মাথানত করে গ্যালারিকে সম্মান জানান তিনি। এই সেঞ্চুরিতে তিনি ছুঁয়েছেন বিজয় হাজারে, সুনীল গাভাসকর, দিলীপ বেঙ্গসরকার ও বিরাট কোহলির কীর্তি। টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে নিজের প্রথম ম্যাচে গিলের আগে সেঞ্চুরি করেছিলেন এই চারজনও। এছাড়াও অধিনায়ক হিসেবে প্রথম টেস্টে শতরান করার নজিরের তালিকায় এতদিন ছিলেন আছেন অ্যালিস্টার কুক, গ্রেগ চ্যাপেল, কেভিন পিটারসেনও। সবার সঙ্গেই নিজের নামওটাও খোদাই করে দেন শুভমন। ক্রিজে নেমেই নিজের ইতিবাচক মনোভাব বুঝিয়ে দেন।

টেস্ট মানসিকতায় ব্যাট করেননি। একদিনের ক্রিকেটের মেজাজে খেলেন। ৫৬ বলে অর্ধশতরান করেন। ইনিংসে ছিল ৮টি চার। প্রথম থেকেই স্বচ্ছন্দ দেখায় গিলকে। ১৭৫ বলে ১৬ চার ও ১ ছয়ে ১২৭ রানে অপরাজিত আছেন ভারতের নতুন অধিনায়ক। এখনও এগিয়ে চলেছেন বলাই যায়। দেশের বাইরে দ্বিতীয় সেঞ্চুরি, এশিয়ার বাইরে প্রথম। ১৪০ বলে দুর্দান্ত একটা ড্রাইভে বাউন্ডারি মেরে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন শুভমন। সব মিলিয়ে কেরিয়ারের ষষ্ঠ টেস্ট সেঞ্চুরি। ইংল্যান্ডের মাটিতে শুভমন শেষ টেস্ট খেলেছিলেন ২০২৩ বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল। চার নম্বরে কোহলির শূন্যস্থান কে পূরণ করবেন, সেই নিয়ে চর্চা চলছিল। প্রাক্তনদের পছন্দ ছিলেন শুভমন। গৌতম গম্ভীরেরও। চার নম্বরে নেমেই নিজের জায়গা পাকা করলেন ভারতের তরুণ অধিনায়ক। সেইসঙ্গে ২৫ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান প্রথম দিনেই দেখিয়ে দিলেন, এই ভার বইতে তিনি প্রস্তুত। অস্ট্রেলিয়া সফরে রান পাননি। ইংল্যান্ডে জাত চেনালেন।

About The Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You may have missed