আইএসএলের ৬ দল খেলতে চায় না ডুরান্ড কাপ, সঙ্কটে ঐতিহ্যের টুর্নামেন্ট

আগামী ১৫ জুলাই ঐতিহ্যশালী ডুরান্ডের উদ্বোধন। ডুরান্ড দিয়েই হবে মরশুম শুরু। ফাইনাল ২৩ আগস্ট। কিন্তু দল কোথায়? কারা খেলবে? এই মরশুমে যে আইএসএলই মহাসঙ্কটে। ভারতীয় ফুটবল ক্যালেন্ডারেই নেই আইএসএলের নাম। যদিও পূর্ণাঙ্গ সূচি জানানো হয়নি। আলোচনা চলছে, কিন্তু কোনও চুক্তিও হয়নি এখনও এফএসডিএল ও এআইএফএফের। জল্পনা চলছে, আইএসএল বন্ধ হয়ে যাওয়ারও। এই অনিশ্চয়তার মধ্যে জানা গিয়েছে, ডুরান্ড কাপ খেলতে চাইছে না ৬টি আইএসএল ক্লাব। তারা বিষয়টি ডুরান্ড কাপ কমিটিকেও জানিয়েছে। সেই কারণে ডুরান্ড কাপের সূচিও প্রকাশ করেনি ডুরান্ড কমিটি। ছটি আইএসএল ক্লাব হল চেন্নাইয়িন এফসি, এফসি গোয়া, বেঙ্গালুরু এফসি, ওড়িশা এফসি, কেরালা ব্লাস্টার্স এবং হায়দরাবাদ এফসি। এমনকী প্রি সিজনও বাতিল করছে ফ্র্যাঞ্চাইজি দলগুলো। ট্রান্সফার উইন্ডো খোলার পর থেকে ফুটবলার রিক্রুটও চলছে ঢিমেতালে। আইএসএলে অংশ নেওয়া একাধিক ক্লাবের সঙ্গে ইতিমধ্যেই বৈঠক হয়ে গিয়েছে এফএসডিএল কর্তাদের। ইন্ডিয়ান সুপার লিগের আয়োজক ক্লাবগুলোকে এফএসডিএলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মাস্টার রাইটস এগ্রিমেন্টের ব্যাপারে পুরোদস্তুর সিদ্ধান্ত না হলে এবার আইএসএলের বলই গড়াবে না। ২০১৪ সালে শুরু হওয়া এই লিগে ফেডারেশনের সঙ্গে আইএসএল আয়োজক ফুটবল স্পোর্টস ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড বা এফএসডিএল-এর ১০ বছরের চুক্তি ছিল। সেই চুক্তি বাবদ এফএসডিএলের কাছ থেকে প্রতি বছর ৫০ কোটি টাকা পায় এআইএফএফ। এই চুক্তি শেষ হয়ে যাচ্ছে চলতি বছরের ডিসেম্বরে। শেষ আলোচনাতে নাকি নতুন শর্তও জানানো হয়েছে, তাতে আগামী ১০ বছর আইএসএলে কোনও অবনমন থাকবে না। আবার আই লিগ চ্যাম্পিয়ন হলেই প্রমোশন নেই। টাকা দিয়েই খেলতে হবে আইএসএল। এই বছরের ডিসেম্বর মাসে শেষ হয়ে যাচ্ছে ফুটবল ফেডারেশনের সঙ্গে এফএসডিএলের চুক্তি। কিন্তু ডিসেম্বরের পরে কী হবে? তার গ্যারান্টি এখনই কেউই দিতে পারছে না। উল্লেখ্য, নর্থ ইস্ট ইউনাইটেড এফসি ডুরান্ড কাপের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন।