চর্চায় পর্দার ‘ভূষণ’, অভিনয়ের যাত্রা শুরু এখান থেকেই! চিনতে পারছেন এই অভিনেতাকে?
এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক: ‘দেখ রহে হো বিনোদ…’ এই সামান্য একটি সংলাপ এবং অভিব্যক্তি দিয়েই তিনি জয় করেছেন দর্শকদের মন। বহুচর্চিত ‘পঞ্চায়েত’ ওয়েব সিরিজে তাঁর সঙ্গে পরিচয় সিরিজের দ্বিতীয় সিজনে। ‘ফুলেরা’ গ্রামে তিনি পরিচিত ‘বনরাকস’ নামেই। কিছুটা নেতিবাচক এবং ভরপুর হাস্যকৌতুকে মোড়া এই চরিত্র, ‘ভূষণ’কে যিনি নিপুণভাবে পর্দায় ফুটিয়ে তুলেছেন, তিনি হলেন অভিনেতা দুর্গেশ কুমার।
সদ্যই মুক্তি পেয়েছে ‘পঞ্চায়েত’-এর চতুর্থ সিজন। সেখানেও বাজিমাত অভিনেতার। এক সময়ে নীলছবি (পর্নফিল্ম)-এ অভিনয় করতে বাধ্য হলেও নিজের দক্ষতায় অভিনয়জীবনে নিজের নাম উজ্জ্বল করেছেন তিনি। বর্তমানে যখন তাঁর চর্চা সর্বত্র, এমন সময়তেই ভাইরাল হল তাঁর অভিনয়জীবনের কিছু স্মৃতি।

দুর্গেশের স্কুলজীবন বিহারে। সেখান থেকে পড়াশোনা শেষ করে ২০০১ সালে দিল্লি চলে যান তিনি। ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ভর্তি হতে চাইলেও প্রবেশিকা পরীক্ষায় ফল ভাল করতে ব্যর্থ হন। তার পর থেকেই শুরু তাঁর থিয়েটারের সফর। দু’বছর অভিনয়ের জন্য প্রশিক্ষণও নেন তিনি। এর পর দিল্লির ন্যাশনাল স্কুল অফ ড্রামায় ভর্তি হন। সম্প্রতি সেই সময়কারই আইডি কার্ডের ছবি তুলে ধরলেন অভিনেতা। পাশের তাঁর ছবি দেখে অভিনেতাকে চেনা দায়। ক্যাপশনে লেখেন, ‘যখন আমি ছোট ছিলাম। ২০০৮-১১। ন্যাশনাল স্কুল অফ ড্রামা, নিউ দিল্লি।’ তারপর তাঁর অভিনয়ের চাকরিজীবনেরও এক ঝলক প্রকাশ করেন তিনি।
আজকের ‘বনরাকস’ সেই সময় এত প্রচারের আলো দেখেননি। একটি সাক্ষাৎকারে দুর্গেশ কুমার বলেন, “মানুষ ‘পঞ্চায়েত’-এর সাফল্যটা দেখছেন। কিন্তু এই জায়গাটায় আসতে আমাকে ১২ বছর পরিশ্রম করতে হয়েছে।”