শুটিং বন্ধ অনির্বাণের, ‘৬ মাস কাজ না পেলে বুঝব আমার ঘটি-বাটি-চাটি হয়ে গেল…’
এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক: শুটিংয়ে গরহাজির টেকনিশিয়ানরা। ফের বন্ধ হল অনির্বাণ ভট্টাচার্যের মিউজিক ভিডিয়োর শুটিং। এর আগেও অভিনেতার ব্যান্ড ‘হুলিগানিজম’-এর মিউজিক ভিডিয়োর শুটিং বন্ধ হয়। কলাকুশলীদের একাংশ জানিয়েছিলেন, অভিনেতা তথা পরিচালকের সঙ্গে কাজ করতে নারাজ তিনি। ফের অচলাবস্থা।
এ দিন যোগেশ মাইমে অনির্বাণের মিউজিক অ্যালবামের শুটিং করার কথা ছিল। কিন্তু কথা দিয়েও নির্দিষ্ট দিনে অনুপস্থিত কলাকুশলীরা। প্রশ্ন করলে নিরুত্তর তাঁরা। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “২০১৫ সাল থেকে আমি তাঁদের সঙ্গে কাজ করে আসছি। ওঁরাও আমার সঙ্গে কাজ করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। আমাদের প্রতিবাদ, হাইকোর্টের রায়, সবটাই প্রকাশ্যে। এখানে লুকানোর কিছু নেই। আমি আমার দেশের নাগরিক হিসেবে কোনও কিছুই লুকিয়ে করব না। এই জন্য লুকিয়ে শুটিং না করে আমার টেকনিশিয়ান বন্ধুদের জানাই। তাঁরাও আমার সঙ্গে কাজ করার জন্য রাজি হয়ে যান। কিন্তু শুটিংটা এগিয়ে আসতেই তাঁরা বেঁকে বসেন। কেউ কেউ উত্তরই দেন না। আর আমার কিছু ঘনিষ্ঠটা আমাকে জানান, তাঁরা কাজ করতে পারবেন না। কারণ আমার সঙ্গে কাজ করলে বিপদে পড়ে যাবেন তাঁরা।”
এরপর কি কিছু পদক্ষেপ করেছিলেন অনির্বাণ? তিনি বলেন, “আমি কিছু সংশ্লিষ্ট গিল্ডের সেক্রেটারিকে জানিয়েছি। তাঁদের কাছে সাহায্য চেয়েছি। আজকে সকালে নয়জনের কলটাইম ছিল। হোয়াটসআপে আমার কথার কোনও উত্তর নেই। প্রথমে কাজ করা নিয়ে আপত্তি না জানালেও এখন কেন গররাজি? আজ পর্যন্ত আমার কোনও কাজ নিয়ে বা নৈতিকতা নিয়ে সিনিয়র হোক বা জুনিয়র, কোনও টেকনিশিয়ান প্রশ্ন তোলেননি।”
ফেডারেশন বনাম পরিচালক গিল্ডের সংঘাত নতুন নয়! গতবছর থেকেই একাধিকবার খবরে উঠে এসেছে এই বিষয়টি। তা হলে কি এই সংঘাত এবং প্রতিবাদেরই মাশুল গুনতে হচ্ছে অনির্বাণকে? তিনি বলেন, “এটা না বোঝার মতো কিছুই নেই। আমাকে যে বয়কট করা হচ্ছে সেটা বুঝতেই পারছি বারবার আমার কাজ আটকে দিয়ে। কিন্তু এর জন্য কোনও আনুষ্ঠানিক চিঠি আমার হাতে আসেনি।”
কিন্তু অদ্ভুত বিষয় হল, কেবলমাত্র নিজের স্বাধীন কাজগুলিতেই কেন বাধা পাচ্ছেন অনির্বাণ? অভিনেতা বলেন, “আমি তো ‘রঘু ডাকাত’-এও অভিনয় করলাম। তখন মনে হয়নি এই সংঘাত কাজের ক্ষেত্রে কোনও প্রভাব ফেলবে বলে। কিন্তু ‘রঘু ডাকাত’-এর পরে যখন নিজের ব্যন্ডের জন্য মিউজিক প্রোডিউস করার কথা ভাবছি, তখন সেটা হচ্ছে না। এই মুহূর্তে আমার হাতে কোনও অভিনয়ের কাজ নেই। এখন যদি দেখি, মাস ছয়েক আমার কাছে কোনও অভিনয়ের প্রস্তাব আসছে না, তা হলে বুঝব আমার বোধ হয় ঘটি-বাটি-চাটি হয়ে গেল! মানে আমার অভিনয়টাও বন্ধ হয়ে গেল। কারণ আমাকে এখনও পর্যন্ত কেউ কোনও ছবি বা সিরিজে অভিনয় করার প্রস্তাব দেননি। আর এটা শুরু হয়েছে আমাদের কোর্টে যাওয়ার পর থেকেই।”
তাহলে কি এত কিছুর পরেও আদালতে মামলা চালিয়ে যেতে চান তিনি? খুব সহজভাবেই উত্তরটা দেন অনির্বাণ। তিনি বলেন, “অভিনয় তো আমি করবই। কারণ অভিনয়ের জন্য কোনও ক্যামেরা বা মঞ্চের প্রয়োজন পড়ে না। কেবল নিজেকে লাগে আর কিছু দর্শক। আমি এই মুহূর্তে এখানে দাঁড়িয়ে অভিনয় করতে পারি। কিছু মানুষ জুটে যাবে। কোর্ট কেস আমরা যতদিন পারব চালিয়ে যাব। তবে নিশ্চিত করে বলতে পারছি না সেটা কতদিন টেনে নিয়ে যেতে পারব।”
