টেস্ট ক্রিকেট সত্যিই কেন বিশেষ… লর্ডসে ম্যাচ হেরেও ব্যাখ্যা ভারত অধিনায়কের

0




লর্ডস টেস্ট ফল যাই হোক না কেন, শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ছিল রোমাঞ্চ, উত্তেজনা, নাটকীয়তা, আগ্রাসনে ভরপুর। রুদ্ধশ্বাস সমাপ্তিতে লর্ডসে আবারও টেস্ট ক্রিকেটের জয়গান। অধিনায়ক শুভমন গিলও এমনটাই মনে করেন। লর্ডসে অতি আগ্রাসী আচরণ দেখা গেছে ভারত অধিনায়ক শুভমন গিলের মধ্যেও। তৃতীয় দিনের শেষ সেশনে, শুভমন জ্যাক ক্রলির সঙ্গে ঝগড়া করেন। ক্রলির তখন সময় নষ্ট করচ্ছিলেন, ফলে তৃতীয় দিনের খেলায় ইংল্যান্ডকে মাত্র একটি ওভার খেলতে হয়েছিল। সেদিন মাঠের পরিবেশ খুব উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল। এরপর চতুর্থ দিনের খেলায় বেন ডাকেটকে আউট করার পর মহম্মদ সিরাজ সেলিব্রেশন করেন। এরজন্য ম্যাচ ফির ১৫ শতাংশ গুণগারও দিতে হয়। আবার পঞ্চম দিন দেখা যায় ঋষভ পন্থকে আউট করে আগ্রাসী ভঙ্গিমায় সেলিব্রেশন করেন ইংল্যান্ডের পেসার জোফ্রা আর্চার।  সেই সেলিব্রেশনে যোগ দেন ইংল্যান্ডের ক্রিকেটাররাও। পন্থ যখন ফিরছিলেন, সেসময়ে আগ্রাসী ভাবে কিছু বলতে দেখা যায় আর্চারকে। উত্তপ্ত হয় ম্যাচের পরিস্থিতি। পঞ্চম দিনের প্রথম সেশনে, রবীন্দ্র জাদেজা এবং ইংল্যান্ডের ফাস্ট বোলার ব্রাইডন কার্সের মধ্যে রান নেওয়ার সময় ধাক্কাধাক্কিতে ঝগড়া শুরু হয়। আম্পায়ারকে হস্তক্ষেপ করতে হয়। আবার উল্টোছবিও দেখা যায়, সিরাজ আউট হতেই শেষ হয়ে যায় লর্ডস টেস্টে ভারতের যাবতীয় লড়াই। কান্নায় ভেঙে পড়েন সিরাজ। ইংল্যান্ড যখন জয়ের সেলিব্রেশনে ব্যস্ত তখন সিরাজকে সান্ত্বনা দিতে ছুটে আসেন জো রুট, জ্যাক ক্রলিরা। সিরাজকে হাত ধরে তোলেন ব্রুক। পিচের অন্য প্রান্তে দাঁড়িয়ে ছিলেন হতাশ জাডেজা। তাঁকেও গিয়ে জড়িয়ে ধরেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক বেন স্টোকস। এটাই হয়তো ক্রিকেটের মাধুর্য্য। ম্যাচ শেষে শুভমন গিল নিজেও স্বীকার করে নেন সে’কথা। বলেন, ‘অবশ্যই, অনেক উত্তেজনা এবং আবেগ ছিল। কারণ ক্রিকেটাররা মানসিক ও শারীরিকভাবে একাত্ম হয়ে যায় খেলার মধ্যে। তাই ব্যাপারগুলোই হয়ে ওঠে চ্যালেঞ্জিং। তবে মাঠের বাইরে, ম্যাচের পর পরস্পরের ওপর শ্রদ্ধাশীল।এই আবেগই টেস্ট ক্রিকেটকে এত বিশেষ করে তোলে।পাশাপাশি ঋষভ পন্থের আউটকেই ভারতের এই হারের টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে দেখেন শুভমন গিল। ভারত অধিনায়ক গিল বলেন, ‘প্রথম ইনিংসে এগিয়ে থাকলে আমাদের সুবিধে হত। পন্থের রান আউট কিছুটা পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। সবকিছু খুব দ্রুত বদলে যায়। শেষ ঘণ্টায় আমরা আরও একটু ভাল করতে পারতাম’।

About The Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *