‘খেলতে এসেছে, সার্কাসের পশু হিসেবে নাচতে নয়…’ নির্বাসনে হতাশ মেসি, ক্ষোভ মায়ামির

এককালে পৃথিবীর বিরলতম দৃশ্যের মধ্যে এটাকে ধরা হলে বলার কিছু থাকত না। ব্যাপারটা এতটাই অভিনব ছিল। কেরিয়ারজুড়ে মুড়িমুড়কির মতো গোল করা মেসির একটা বড় কৃতিত্ব বলতে গেলে লাল কার্ড প্রায় না দেখা। কেরিয়ারের সায়াহ্নে এসে সেই মেসির ভাগ্যেই নাকি জূটল সরাসরি নির্বাসন! কী অপরাধ? মেজর লিগ সকারের অল-স্টার ম্যাচে অংশ না নেওয়ার শাস্তি। শুধু লিওনেল মেসি নন, জর্ডি আলবাও এই একই কারণে এক ম্যাচ নির্বাসিত হয়েছেন। অস্টিনে অনুষ্ঠিত অল-স্টার ম্যাচে মেক্সিকোর লিগা এমএক্স অল-স্টারদের বিপক্ষে ৩-১ ব্যবধানে জয় পায় এমএলএস অল-স্টার দল। তবে সেই ম্যাচে উপস্থিত ছিলেন না মেসি ও আলবা। এমএলএসের নিয়ম অনুযায়ী, কোনো খেলোয়াড় যদি অল-স্টার ম্যাচে অংশ না নেন এবং তার জন্য লিগ কর্তৃপক্ষের অনুমতি না থাকে, তবে পরবর্তী ম্যাচে তিনি মাঠে নামতে পারবেন না। খেলা শুরুর আট ঘণ্টা আগে জানা যায় এই ম্যাচে পাওয়া যাবে না দুই তারকাকে। তাই শাস্তিই জুটল। এমএলএস কমিশনারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, মেসিরা যে খেলবেন না, তা আরও আগে জানানো যেত। এই শাস্তিতে আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি ‘প্রচণ্ড মর্মাহত’ হয়েছেন বলে জানিয়েছেন মায়ামির সহমালিক জর্জ মাস। ইন্টার মিয়ামির কোচ জেভিয়ের মাসচেরানো আগেই জানিয়েছিলেন, ‘মেসি সম্প্রতি অনেক ম্যাচ খেলেছে, অনেক সময় মাঠে থেকেছে। তাই তার মধ্যে স্বাভাবিক ক্লান্তি দেখা গেছে এবং আলবা গত সপ্তাহের ম্যাচে হালকা চোট পেয়েছেন।’ গত ৩০ এপ্রিল থেকে মায়ামির প্রতিটি ম্যাচেই ৯০ মিনিট করে খেলেছেন ৩৮ বছর বয়সী মেসি। গত ১৪ জুন থেকে খেলেছেন ৯ ম্যাচ, এর মধ্যে ৪ ম্যাচ খেলেছেন ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে। শেষ গত ২৭ এপ্রিল মায়ামির ম্যাচে মেসিকে দেখা যায়নি। কিন্তু তার পর থেকে মায়ামির কোনো ম্যাচ মিস করেননি আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি। তবু ছাড় মেলেনি। ৩৮ বছর বয়সী ফুটবলার যেভাবে ক্লাবের হয়ে সার্ভিস দিয়ে চলেছেন, তাতে ক্লান্তি থাকাটাই স্বাভাবিক। মাস জানান, ‘লিওনেল মেসি অত্যন্ত হতাশ, আমরাও ক্লাব হিসেবে খুব হতাশ। ও খেলতে চেয়েছিল, জয় পেতে চেয়েছিল। ও এখানে এসেছে খেলতে, জয় আনতে—সার্কাসের পশু হিসেবে নাচতে নয়।’ তিনি এও বলেন, মেসি বুঝতে পারছে না, প্রদর্শনী ম্যাচে না খেলার জন্য কেন তাদের সরাসরি নির্বাসিত করা হবে। নিয়ম এটাই হলেও সেটা তাদের বোধগম্য নয়।’
