আশিয়ান কাপ জয়ের দিনেই কল্যাণীতে ডার্বির রঙ লাল হলুদ, ডার্বির নায়ক সায়ন

0




২৬ জুলাই। ২২ বছর আগে এই দিনেই আশিয়ান কাপ জয় করেছিল ইস্টবেঙ্গল। এই দিনটাতেই কল্যাণীর রঙ সবুজ মেরুন হয়ে থাকল। মরশুমের প্রথম ডার্বির ফল, ইস্টবেঙ্গল ২, মোহনবাগান ২। দু’প্রধানের কোনও দলই সেরা একাদশ নিয়ে নামে না। তবু সমর্থকদের কাছে ডার্বি মানেই আবেগেই। পুরো কল্যাণী স্টেডিয়াম ভর্তি। ইস্টবেঙ্গলের হয়ে গোল করলেন জেসিন টিকে, সায়ন ব্যানার্জি এবং ডেভিড লালনসঙ্গা। মোহনবাগানের দুটি গোল করেন  লিওয়ান কাস্তানা ও কিয়ান নাসিরি। গোল করে ও করিয়ে ডার্বির নায়ক সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়।
এই ম্যাচের ৯ মিনিটে জেসিন টি কে-র গোলে এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। বল নিয়ে বক্সে ঢুকে পড়ে জেসিনকে নিখুঁত পাস বাড়ান সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়। জেসিন শুধু জালে বল জড়িয়ে দেন। প্রথমার্ধের সংযোজিত সময়ে কর্নার পায় মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। লাল-হলুদ বক্সে জটলার মধ্যে থেকে বল পান এডমুন্ড লালরিনডিকা। তিনি ফাঁকায় দাঁড়িয়ে থাকা সায়নকে বল বাড়ান। বক্সে ঢুকে পড়ে বিপক্ষের গোলকিপারকে কাটিয়ে গোল করেন সায়ন। গোটা ম্যাচ জুড়ে তাঁর দাপট ছিল দেখার মতো। এদিন ধারেভারে ইস্টবেঙ্গল এগিয়ে থাকলেও দুর্দান্ত ভাবে দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচে ফেরে মোহনবাগান। প্রথমে লাল হলুদের জালে বল জড়িয়ে দেন লিওয়ান কাস্তানা। ৬৭ মিনিটে সমতা ফেরায় মোহনবাগান। লাল হলুদের বক্সের বাইরে ভুল করেন সায়ন। সেই বল থেকে কাস্তানার ক্রসে হেড দিয়ে গোল করে যান কিয়ান নাসিরি। ম্যাচ কি ড্র হবে, তা নিয়ে যখন দর্শকরা উদ্বিগ্ন, তখনই জয়সূচক গোল করেন ডেভিড লাললানসাঙ্গা। ৬৯ মিনিটে বক্সের মধ্যে থেকে মাপা হেডে জালে বল জড়িয়ে দেন এই তরুণ স্ট্রাইকার। তাঁর গোলই ম্যাচের ফল নির্ধারণ করে দেয়। ম্যাচের শেষ মুহূর্তে লাল কার্ড দেখেন ইস্টবেঙ্গলের আমন সিকে। এই ম্যাচ জিতে লিগ তালিকায় ৫ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট পেয়ে ৫ নম্বরে উঠে এল ইস্টবেঙ্গল। মোহনবাগান যদিও এই হারের পরও তিনেই রইল।

About The Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You may have missed