অপরাধীদের আস্তানা হোটেল-লজ-গেস্টহাউজ! অভিনব উদ্যোগ বাগুইআটি থানার
অপরাধীরা-দুষ্কৃতীরা গা ঢাকা দেওয়ার জন্য বেছে নিচ্ছেন হোটেল, লজ, গেস্ট হাউজ। সম্প্রতিই দেখা গেছে পাটনার শাস্ত্রী নগরের হাসপাতালে খুন করে সটান কলকাতার আনন্দপুরের গেস্ট হাউসে গ্যাংস্টার খুনে অভিযুক্ত কয়েক জন গা ঢাকা দিয়েছিল।এবার হোটেল-লজ-গেস্ট হাউজে কর্মরত ও মালিকদের সজাগ করতেই অভিনব উদ্যোগ নিল বাগুইআটি থানা।
খোলা হচ্ছে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ। হোটেল, গেস্ট হাউস, লজের মালিকরা যাতে পুলিশের সঙ্গে সরাসরি ও সহজে যোগাযোগ করতে পারেন, তার জন্য একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিধাননগর কমিশনারেটের বাগুইআটি থানা। বিভিন্ন সময় নানান অপরাধমূলক কাজ বা অপ্রীতিকর কার্যকলাপ হয় বিভিন্ন হোটেল, লজে। এমন ঘটলে বা সন্দেহ হলে সরাসরি এয়ারপোর্ট থানাকে জানাতে পারেন হোটেল, লজ, গেস্ট হাউসের কর্তৃপক্ষরা।
শুক্রবার বাগুইআটি থানা এবং বিমানবন্দর থানা-এর আওতাধীন হোটেল, গেস্ট হাউস এবং লজগুলির সাথে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়, যার দায়িত্বে ছিলেন ডিসিপি বিমানবন্দর। এসিপি বিমানবন্দর এবং অতিরিক্ত আইসি বিমানবন্দর থানা সভায় উপস্থিত ছিলেন। সেখানেই এই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের কথা জানানো হয় হোটেল, লজ ও গেস্ট হাউসের কর্তৃপক্ষদের। পাশাপাশি বেশ কয়েকদফা নির্দেশও কার্যকর করার কথা জানানো হয়।

একঝলকে দেখে নেওয়া যাক, সে সব নির্দেশ-
১.) SARAI লাইসেন্স বাধ্যতামূলক। এরমধ্যে অতিথিদের আইডি চেক, ফর্ম, ছবি থাকবে।
২) অতিথিদের রেজিস্টার সংরক্ষণ ও পুলিশের যাচাই আবশ্যক
৩) ভিন রাজ্য থেকে কেউ এলে সন্দেহজনক কিছু দেখলেই পুলিশকে জানাতে হবে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে।
৪) অভিভাবক ছাড়া কোনও নাবালক যদি হোটেল ভাড়া নেয় তাহলে ভাড়া দেওয়া যাবে না। জানাতে হবে পুলিশকে।
৫) গেস্ট হাউস, হোটেল, লজে সিসিটিভি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। অন্তত দু’মাস ফুটেজ সংরক্ষণও রাখতে হবে।
৬) অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা, প্যানিক বোতাম ও প্রাথমিক চিকিৎসার মতো নানান প্রোটোকল রাখতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে।
