বুমরাহকে ছাড়া ভারতের জয় কাকতালীয়, কেন এমন কথা বললেন মাস্টার ব্লাস্টার

কোনও কিছুই কারোর জন্য থেমে থাকে না। এই যে বিরাট কোহলি নেই, রোহিত শর্মা নেই, অশ্বিন নেই, তবু চোখে চোখ রেখেই শুভমন গিলের ‘নতুন’ ভারত লড়াই করেছে ইংল্যান্ডে। শেষ ম্যাচে আবার ছিলেন না জসপ্রীত বুমরাহ ও ঋষভ পন্থ। তারপরও হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করে জয় ছিনিয়ে এনেছেন প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা, মহম্মদ সিরাজরা। শচীন তেন্ডুলকর ওভালের এই জয়কেই কাকতালীয় বললেন। তাঁর অকাট্য যুক্তি, ‘বুমরাহকে ছাড়া ভারতের জয়ের ব্যাপারটা নিছকই কাকতালীয়।’ কেন বললেন, তারও যুক্তি দিয়েছেন তিনি। বলেছেন, ‘ও বিশ্বের এক নম্বর পেসার। খুবই প্রতিভাবান। এখনও পর্যন্ত যা করেছে, তা অবিশ্বাস্য। ধারাবাহিকভাবে ভালো পারফরম্যান্স মেলে ধরেছে। ওকেই রাখব সবার উপরে। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধেও শুরুটা ভালোই করেছিল। চোটের কারণে সবক’টি ম্যাচ খেলতে পারেনি। তিনটি টেস্ট খেলেছে। তিনি যে তিনটি টেস্ট খেলেন তার মধ্যে তিনি দু’বার পাঁচটি উইকট সংগ্রহ করেছিলেন। এতেই স্পষ্ট, বুমরাহ কতটা দক্ষ। আমি জানি যে লোকেরা একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করছে, আমরা সেই পরীক্ষাগুলিতে জিতেছি যেখানে তিনি খেলেননি। আমার কাছে এটা কেবল একটি কাকতালীয় ঘটনা’। ওভালে মরণ-বাঁচন ম্যাচে ৬ রানের রুদ্ধশ্বাস জয় ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। সেই জয়ের অন্যতম কারিগর অবশ্যই মহম্মদ সিরাজ। শচীন অবশ্য সিরাজেরও প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেন, বলেছেন, ‘অসাধারণ পারফরম্যান্স। ওর মানসিকতা আমার ভালো লাগে। ওকে শেষ দিনেও একই উদ্যমে বল করতে দেখে ভালো লাগছিল। মনে হচ্ছিল, পায়ে যেন স্প্রিং লাগানো হয়েছে। শেষ দিনেও নাকি ঘণ্টায় ১৪৫ কিলোমিটার গতিতে বল করেছে। এতেই বোঝা যায় ও কতটা ফিট এবং লড়াকু।’ শচীন পাশাপাশি ওয়াশিংটন সুন্দরেরও আলাদাভাবে প্রশংসা করেছেন। বলেছেন, দলের প্রয়োজনে তিনি যখনই খেলেছেন, তখনই ছাপ রেখেছেন।এও মনে করেন জাদেজা-সুন্দর ম্যাঞ্চেস্টারে যে সেঞ্চুরি করেছেন, তা তাদের প্রাপ্যই ছিল। তিনি বলেন, ‘অনেকে বলছেন, ক্রিকেটীয় সংস্কৃতি না মেনেই নাকি জাদেজা, সুন্দর সেঞ্চুরি করেছে। আমার প্রশ্ন কেন করবে না? ওরা তো ড্র করার জন্যই খেলছিল। তাই জাড্ডু, সুন্দরের খেলা চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত সঠিক। আর ইংল্যান্ডের ক্রিকেটারদের বিশ্রামের ব্যাপারটা তো ভারতের দেখার বিষয় নয়। যা করেছে, বেশ করেছে’।