প্রতিদিনই নয়া গল্প, নেই চিত্রনাট্য! ‘দাদা’ অনুরাগের সঙ্গে কাজের ‘অদ্ভুত’ অভিজ্ঞতা আদিত্য-সারার

0

এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক: ‘মেট্রো ইন দিনো’—শহরের চারপাশে গজিয়ে ওঠা সম্পর্কের গল্প নিয়ে আবারও ফিরলেন অনুরাগ বসু। আর সেই সৃজনযাত্রায় আবারও জুড়ল আদিত্য রায় কাপুরের নাম। ‘লুডো’র পর ফের তাঁর পরিচালনায় কাজ করার সুযোগ পেয়ে ভীষণ খুশি আদিত্য। ছবির প্রচারে কলকাতায় এসে বললেন, “দাদার সঙ্গে কাজ করাটা একটা স্বপ্ন। ‘লুডো’র পর থেকেই অপেক্ষা করছিলাম কবে আবার ফিরতে পারব। ওঁ প্রতিবার এমন এক চরিত্র ভাবেন, যা একেবারেই নতুন, অন্যরকম। এটা পুরোপুরি নতুন এক অভিজ্ঞতা।”

সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয় জানেন? এই ছবির কোনও ফাইনাল স্ক্রিপ্ট ছিল না! অভিনেতা বললেন, “দাদা একটা নিখুঁত আউটলাইন দেন, চরিত্রের গভীরতা বোঝান, কিন্তু তাঁর কাছ থেকে পুরো আগাম চিত্রনাট্য মেলে না। প্রথম কয়েকদিন একটু অদ্ভুত লাগলেও, পরে যখন বুঝে যাই কী ভাবে দাদা কাজ করেন, তখন সেটা চাপ নয়, বরং আনন্দের বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। প্রতিদিন একটা নতুন গল্পের মোড়, নতুন কিছু করার অভিজ্ঞতা। অভিনেতা হিসেবে এটাই নতুন অ্যাডভেঞ্চার।”

সারাও একইভাবে মুগ্ধ দাদার পরিচালনায়। বলেন, “আমি কোনও চাপ নিইনি। দাদা একজন অভিনেতাকে নিজের মতো প্রকাশের জায়গা দেন। বরং এটা একটা সম্মানের বিষয় যে আমি এই ছবিতে আছি। দাদার পরিচালনায় কাজ করছি। প্রীতমের মিউজিকের সঙ্গে যুক্ত হয়েছি। এটা একেবারেই নতুন এক ছবি—‘লাইফ ইন আ মেট্রো’র উত্তরসূরি হলেও এর নিজস্ব একটা পরিচয় আছে।”

প্রেম, বিচ্ছেদ, প্রযুক্তির প্রভাব—এখনকার মেট্রো-জীবনের ভালবাসা কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে, সেটাই দেখানোর চেষ্টা ‘মেট্রো ইন দিনো’তে। সারার মতে, “আজকে যেখানে সবকিছু এত হাইপার-কানেক্টেড, সেখানে আসল কানেকশনটা কোথাও হারিয়ে যাচ্ছে। সেটা প্রেম হোক বা অন্য কোনও সম্পর্ক—প্রকৃত থাকা, মন থেকে যুক্ত থাকা সবথেকে জরুরি।”

সব মিলিয়ে, ‘মেট্রো ইন দিনো’ শুধুই প্রেমের গল্প নয়—এটা সম্পর্কের বাস্তব চিত্র, এক নির্মোহ অথচ স্নেহময় উপস্থাপন। যা তৈরি হয়েছে সাবলীলভাবে, একদম ‘দাদা’ অনুরাগ বসুর মতো করে।

About The Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *