‘আমি লড়ে যাব, একদিনে স্বাধীনতা আসে না’, শুটিং বন্ধ হলেও পিছু হটতে নারাজ অনির্বাণ

0

এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক: শুটিং থেমে গিয়েছে। আবারও। অনির্বাণ ভট্টাচার্যর মিউজিক ভিডিওর শুটিং হওয়ার কথা ছিল সোমবার, যোগেশ মাইম অ্যাকাডেমিতে। প্রস্তুতি ছিল, প্ল্যান ছিল, লোকেশন ছিল—ছিল না শুধু টেকনিশিয়ানদের সহযোগিতা। যাঁরা কথা দিয়েও শেষ মুহূর্তে পিছিয়ে যান। কেউ ফোন তোলেন না, কেউ বলেন, সমস্যা হবে। আর তাই শুটিং বাতিল।

অনির্বাণ বলছেন, “এই অসহযোগিতা নতুন নয়, ন্যায্য প্রশ্ন তুলেছি বলেই এই আচরণ।” একাই দাঁড়ালেন ক্যামেরার সামনে—না, শুটিংয়ের জন্য নয়, লড়াইয়ের জন্য। “আমি তো কোনোদিন কাউকে বলিনি, বাংলা সিনেমার পাশে দাঁড়াও। দাঁড়াবে কিনা, সেই বিচার করে আমি আসিনি,”—এই বলেই যেন সকল অনিশ্চয়তার মধ্যে নিজের বিশ্বাসটাকেই তিনি বেছে নিলেন।

সংবাদমাধ্যমের সামনে দাঁড়িয়ে অনির্বাণ স্পষ্ট বলেন , “আমি এখানে লড়াই করবই। স্বাধীনতাটা আনব। একদিনে কিছু হয় না, একদিনে স্বাধীনতা আসে না।” তাঁর কথায় স্পষ্ট হতাশা—“আজ আর সামনে আমার কোনও কাজের কথা নেই।”
শুধু অভিনেতা হিসেবে নয়, একজন নির্মাতা হিসেবে তাঁর পথ রুদ্ধ হয়ে যাচ্ছে বলেই আশঙ্কা। প্রশ্ন তোলেন—“আমার সমস্যা হবে আগামী দিনে এই কাজ করতে।”

তবুও তিনি পিছু হটতে রাজি নন তিনি। বলেন, “যে টেকনিশিয়ানদের সঙ্গে আমি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি, তাঁদের সঙ্গেই আবার কাজ করব। যতদিন পারব, চেষ্টা চালিয়ে যাব।”
তিনি জানেন, এই লড়াই সহজ নয়। সময়সাপেক্ষ। “দাবি যদি ন্যায্য হয়, সে দাবি ছোট হোক বা বড়, লড়তে সময় লাগে,”—এই বলেই দৃঢ় প্রত্যয় জানালেন অনির্বাণ। এই লড়াই যেন শুধু একজন শিল্পীর পেশাগত স্বাধীনতার প্রশ্ন নয়—এ এক বৃহত্তর সংস্কৃতি-রাজনীতির ছায়াযুদ্ধ।

About The Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *