‘ময়মনসিংহে ভেঙে ফেলা বাড়িটি সত্যজিৎ রায়ের নয়’, বিতর্কের মাঝে সরব বাংলাদেশ সরকার
এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক: গত মাসেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পৈতৃক ভিটেতে ভাঙচুর চালানো হয়। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তোলপাড় হয়েছিল সমাজমাধ্যম। মাস ঘুরতেই ফের নয়া বিতর্ক। সত্যজিৎ রায়ের পৈতৃক ভিটে ভাঙার খবর প্রকাশ্যে আসতেই নতুন করে শোরগোল দুই দেশেই। বিতর্ক বাড়তেই এ বার নয়া খবর। ময়মনসিংহ শহরের যে বাড়ি ভাঙাকে কেন্দ্র করে এত বিতর্ক, সেটি নাকি মোটেই সত্যজিৎ রায়ের পৈতৃক ভিটে নয়। এমনকি ওই বাড়ির সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই রায় পরিবারের। এমনটাই জানিয়েছে মহম্মদ ইউনূসের সরকার।
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, এই বিতর্কে ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম বলেন, “আমরা সব স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেছি। সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ময়মনসিংহ জেলার একটি বিষয়কে কেন্দ্র করে দেশে এবং বিদেশে সংবাদ প্রচার হচ্ছে। সংবাদটি আমাদের সবার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। যে জমি বা বাড়িটি সত্যজিৎ রায় বা তাঁর পূর্বপুরুষদের দাবি করা হচ্ছে, সরকারি রেকর্ড ও নথিপত্র যাচাই-বাছাই করে আমরা কোথাও সত্যজিৎ রায় ও তাঁর পূর্বপুরুষের কারও নাম পাইনি। আরএস রেকর্ডে এটি বাংলাদেশ সরকারের নামে লিপিবদ্ধ।”
জেলা প্রশাসক আরও বলেন, “ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা তথ্য দিয়ে আমাদের দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য এসব তথ্য ছড়ানো হচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে এটি সত্যজিৎ রায় বা তার পূর্বপুরুষের বাড়ি না এবং তাঁরা কোনওদিনই এখানে ছিলেন না।”
সম্প্রতি ওই দেশেরই সংবাদপত্র দাবি করেছিল, ময়মনসিংহের হরিকিশোর রায় রোডটি সেখানকার জমিদারের নামে নামাঙ্কিত। বাংলা শিশুসাহিত্যের অন্যতম পথিকৃৎ উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর পূর্বপুরুষ তিনি। সেই সূত্রেই রায় পরিবারের সঙ্গে সংযোগ। ওই হরিকিশোর রায় রোডের উপর একটি পুরনো একতলা বাড়ি ছিল, যেটি ১৯৮৯ সাল থেকে বাংলাদেশ শিশু অ্যাকাডেমি হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছিল। বাড়িটির অবস্থা দেখে ২০০৭ সালে সেটিকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। নতুন করে নির্মাণ করতে সম্প্রতি বাড়িটি ভাঙতে শুরু করে বাংলাদেশ শিশু অ্যাকাডেমিই।