এশিয়া কাপে ভারত খেলবে না, সম্পূর্ণ গুজব বলে জানিয়ে দিলেন বিসিসিআই সচিব

সম্প্রতি ভারত-পাকিস্তান সংঘাত সকলেরই জানা। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি, যিনি পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও বটে, এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) সভাপতি হওয়ার কারণে পরবর্তী এশিয়া কাপ খেলবে না ভারত সকাল থেকেই এমন খবরই রটে গিয়েছিল। তা যে সম্পূর্ণ গুজব, তা পরিষ্কার করে দিয়েছেন বিসিসিআই সচিব দেবজিৎ সাইকিয়া। তাঁর দাবি, এমন কিছুই এখনও ঘটেনি। আদপে কোনও আলোচনাই হয়নি। বিসিসিআই সচিব দেবজিৎ সাইকিয়া জানিয়েছেন, ‘এশিয়া কাপের বিষয়টি কিংবা এসিসির অন্য কোনো কিছু নিয়েই আমাদের কোনো লেভেলের কোনো আলোচনাতেই উঠে আসেনি। এমনকি এখনও পর্যন্ত বিসিসিআই আসন্ন এসিসি ইভেন্টগুলি সম্পর্কে আলোচনা বা কোনও পদক্ষেপ নেয়নি, এসিসিকে কিছু লেখার কথা তো দূরের কথা। এই মুহূর্তে, আমাদের মূল ফোকাস হলো চলতি আইপিএল এবং পুরুষ ও মহিলা বিভাগে পরবর্তী ইংল্যান্ড সিরিজ-এর ওপর।’ শুধু কী তাই! জুন মাসে মহিলাদের ইমার্জিং টিমের এশিয়া কাপ থেকেও নাকি নাম তুলে নিয়েছে ভারত এমন খবরও রটেছিল। তা নিয়েও তমুল চাঞ্চল্য ছড়ায়। তা নিয়েও সাইকিয়া বলেন, ‘এশিয়া কাপ এবং জুনে শ্রীলঙ্কায় হতে যাওয়া মহিলাদের ইমার্জিং এশিয়া কাপে ভারতের অংশগ্রহণের বিষয়ে বিসিসিআই এসিসিকে এখনও পর্যন্ত কোনও সিদ্ধান্ত জানায়নি’। তবে জানা গেছে, মহিলা ইমার্জিং এশিয়া কাপকে এরই মধ্যে স্থগিত করা হচ্ছে। যদিও এর কারণ অজানা। এমনকি এসিসিও এ বিষয়ে এখনও পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো বিবৃতি দেয়নি। ঘটনা যাই হোক, ভারত-পাকিস্তানের এই রাজনৈতিক টানাপোড়েনের মধ্যে এশিয়া কাপ না হওয়ার আশঙ্কা যথেষ্টই থাকছে। এ বছরের এশিয়া কাপ হওয়ার কথাও ভারতেই। যুদ্ধ পরিস্থিতির সময় ভারতের একাধিক প্রাক্তন ক্রিকেটার পাকিস্তানের সঙ্গে ক্রিকেট সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা বলেছেন। যাঁদের মধ্যে ছিলেন সুনীল গাভাসকর, সৌরভ গাঙ্গুলী, গৌতম গম্ভীর, বীরেন্দ্র সেহওয়াগ, শিখর ধাওয়ান, ইরফান পাঠানরা রয়েছেন। এর আগে ১৯৯০–৯১ সালের আসর বসেছিল ভারতে। কিন্তু সেই আসরে আবার পাকিস্তান অংশগ্রহণ করেনি। তার একমাত্র কারণ ছিল ভারতের সঙ্গে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক টানাপোড়েন।