ইউরোপসেরা পিএসজিকে বিধ্বস্ত করে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন চেলসি, দেখলেন ট্রাম্প

ফুটবল সত্যি অবিশ্বাস্য। তার ফলাফলও হয় অনেকসময় অপ্রত্যাশিত। ক্লাব বিশ্বকাপ ফুটবল তাই প্রমাণ করল। একদিকে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ টেবিলে চার নম্বরে ছিল চেলসি। অন্যদিকে পিএসজি লিগ ওয়ান, ফ্রেঞ্চ কাপ এবং উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের চ্যাম্পিয়ন। কে ভেবেছিল এই পিএসজি-ই প্রথমার্ধে তিন তিনটি গোল খেয়ে বিধ্বস্ত হয়ে যাবে! ইউরোপের দুই জায়ান্টের লড়াইয়ে তাই হল ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে। কাগজে-কলমে পরিষ্কার ফেভারিট পিএসজিকে ৩-০ গোলে হারিয়ে ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ জিতল চেলসি। যুক্তরাস্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গিয়েছিলেন ফাইনাল দেখতে। দেখলেন চেলসির রূপকথার জয়।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সির মেটলাইফ স্টেডিয়ামে ৮২ হাজারের বেশি দর্শকের সামনে কোল পালমার জোড়া গোল আর অ্যাসিস্টে ইউরোপ চ্যাম্পিয়ন পিএসজিকে রীতিমতো গুঁড়িয়ে দিয়েছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবটা। শুধু অবশ্য পারমার নন, চেলসির সাফল্যের আর এক নায়ক অবশ্য গোলকিপার রবের্তো সাঞ্চেস। পিএসজির সম্ভাব্য গোল যে দুই বিশ্বস্ত হাতে বারবার রুখে গেছে। পরিসংখ্যান বলছে, চেলসি গোলকিপার রবার্তো সাঞ্চেজ মোট ৬টি সেভ করেছেন। পালমার চেলসির হয়ে প্রথম গোলটা করেন ম্যাচের ২২ মিনিটে। পরের গোলটাও করেন তিনিই, ম্যাচের ৩০ মিনিটে। পরের গোলটাতেও পালমারের অবদান আছে, তবে গোলটা এসেছে জোয়াও পেদ্রোর সরাসরি স্পর্শ থেকে ৪৩ মিনিটে। ২১ মিনিটের চেলসির ঝড়ে দিশা হারায় যেন পিএসজি। স্বাভাবিক। কারণ মাত্র এক গোল হজম করে উঠে এসেছিল তারা ফাইনালে। গোল শোধের মরিয়া চেষ্টায় নির্ধারিত সময়ের পাঁচ মিনিট বাকি থাকতেই ১০ জনের দলে পরিণত হয় ফরাসি এই ক্লাব। পেছন থেকে কুকুরেইয়ার চুল টেনে ধরায় ভিএআরের সাহায্যে পিএসজি মিডফিল্ডার জোয়াও নেভেসকে লাল কার্ড দেখান রেফারি। রেশ থাকে ম্যাচের শেষেও। শেষ বাঁশি বাজার পর হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে দুই দলের কয়েক জন। জোয়াও পেদ্রোর মুখে আঘাত করেন পিএসজি কোচ এনরিকে। এরপরই অবশ্য ট্রাম্পের সামনে বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠে নীল জার্সিধারীরা। চেলসির জয়ে অবশ্য ম্যাচের পরিসংখ্যান বলছে ভিন্ন কথা। একক আধিপত্য বিস্তার করে খেলেছে পিএসজিই। তাদের বল দখলের পরিমাণ ছিল ৬৭ ভাগ। চেলসির ছিল ৩৩ ভাগ। ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনোর পাশে বসে খেলা উপভোগ করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পরে পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে খেলোয়াড়, ম্যাচ অফিসিয়ালদের মেডেল ও চ্যাম্পিয়ন অধিনায়কের হাতে ট্রফি তুলে দেন তারা।