১৭ বনাম ৪০-এর লড়াই, নেশনস লিগ ট্রফি জিততে রোনাল্ডোর সামনে ইয়ামাল
স্পোর্টস ডেস্ক: এ যেন এক অসম্ভবের লড়াই দেখার অপেক্ষা শুরু হল ফুটবল ভক্তদের। একদিকে ১৭ বছরের ইয়ামাল অন্যদিকে ৪০ বছরের ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। মানে চল্লিশের সঙ্গে সতেরোর লড়াই। লা লিগায় যেখানে প্রায় এক দশক রাজার মতো দাপটে কাটিয়েছিলেন রোনাল্ডো, সেখানে এখন নতুন তারকা বার্সার ইয়ামালের রাজত্ব। নেশনস লিগ ট্রফি স্পেনে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে এগোচ্ছেন ইয়ামাল। অন্যদিকে, ২০১৮ সালের পর ফের আন্তর্জাতিক ট্রফি জিততে মরিয়া ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর পর্তুগাল।
বর্তমান প্রজন্মের তারকা এমবাপ্পে, ডেম্বেলেদের হারিয়েছেন ইয়ামাল। স্টুর্টগার্টে ৯ গোলের ম্যাচে নিজেই করেছেন জোড়া গোল। যে ডেম্বেলের সঙ্গে তার ব্যালন ডি অ’র এর দৌড় চলছিল, তাকেও পেছনে ফেলে দিয়েছেন। এখন তার সামনে চ্যালেঞ্জ রোনাল্ডোর মতো কিংবদন্তির মুখোমুখি হওয়া। নেশনস লিগের সেমিফাইনালে স্পেন ও ফ্রান্সের মধ্যে উত্তেজনাপূর্ণ লড়াইয়ে গোলের বন্যা বয়ে যায়। স্পেনের হয়ে গোল করেন নিকো উইলিয়ামস, মিকেল মেরিনো, পেদ্রি এবং ইয়ামাল। ম্যাচে ইয়ামাল-পেদ্রি ও ডেম্বেলে তিনজনই মাঠে ছিলেন। ইয়ামাল ও পেদ্রি স্পেনের হয়ে গোল পেলেও নিষ্প্রভ ছিলেন ডেম্বেলে। ৫৫ মিনিটের মধ্যে ৪-০ গোলে পিছিয়ে পড়া ফ্রান্স নাটকীয়ভাবে ম্যাচে ফিরে এসেছিল। কিন্তু শেষ হাসি হেসেছে স্পেনই। সব মিলিয়ে ৬ বার এমবাপ্পের মুখোমুখি হয়ে প্রতিবারই জিতলেন ইয়ামাল। এই জয়ে ফাইনালে উঠে গেছে স্পেন। টানা তৃতীয়বার নেশনস লিগের ফাইনালে উঠলো স্প্যানিশরা। বর্তমানে ক্লাব ও জাতীয় দলের হয়ে ৫৫ ম্যাচে ১৮ গোল ও ২৫টি অ্যাসিস্ট করেছেন ইয়ামাল। এই বয়সেই এমন পরিসংখ্যান তাকে তুলে এনেছে ব্যালন ডি’অরের আলোচনায়।
অন্য সেমিফাইনালে জার্মানিকে ২-১ হারিয়ে দিয়েছে পর্তুগাল । জার্মানির বিরুদ্ধে সেমিফাইনালে পর্তুগালের হয়ে জয়সূচক গোল করেছিলেন রোনাল্ডো। সেই মহাতারকারই এবার মুখোমুখি হতে হবে তাঁকে। রোনাল্ডোকে নিয়ে ইয়ামাল বলেন, ইয়ামাল বলেছেন, ‘এটি বিশেষ ম্যাচ। এক অসাধারণ দলের বিরুদ্ধে ফাইনাল আমাদের অতিরিক্ত অনুপ্রেরণা দিচ্ছে। আমি এই ধরনের ম্যাচ খেলতে চাই। আমি কে, তা প্রমাণ করতে চাই। উনি ফুটবলের কিংবদন্তি। সব খেলোয়াড়ের মতো আমারও ক্রিশ্চিয়ানোর প্রতি বিশাল শ্রদ্ধা আছে। আমি নিজের কাজ করব। দলকে ম্যাচ জেতাতে চাই।’ উয়েফা নেশনস লিগ ফাইনাল প্রসঙ্গে ইয়ামাল বলেছেন, ‘আমি মাকে সবসময় বলি, সবসময় সেরা পারফরম্যান্সের চেষ্টা করব। এটিই আমার ফুটবল খেলার অনুপ্রেরণা। এই কারণেই আমি রোজ সকালে ঘুম থেকে উঠি। আমি স্পেনে কাপ আনতে চাই’। ৯ জুন, আবারও অ্যালিয়াঞ্জ অ্যারেনাতেই বসবে সেই ট্রফি নির্ধারক ম্যাচ। সেই অপেক্ষাতেই ফুটবল ভক্তরা।