ডার্বির নায়কেই আচমকা বিদায়, ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে ‘গোল্ডেন হ্যান্ডশেক’ দিমির
স্পোর্টস ডেস্ক:
হতে পারেন তিনি ডার্বির নায়ক। কিন্তু এইমুহূর্তে তিনি ইস্টবেঙ্গলের কাছে মূল্যহীন। তাই ‘গ্রিক তারকা’ বিদায় বন্ধু বলে দিল লাল হলুদ। লাল হলুদ জার্সিতে এরপরের কোনও ডার্বিতে আর দেখা যাবে না দিমিত্রিয়স দিয়ামান্তাকোসের গোল বা সেলিব্রেশন। কারণ, ডুরান্ড ডার্বির ১৫ দিন কাটতে না কাটতেই হয়ে গেল গোল্ডেন হ্যান্ডশেক।
ডুরান্ড কাপের ডার্বিতে এই গ্রিক স্ট্রাইকারই জোড়া গোল করে জিতিয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গলকে। সদ্যই সন্তানের বাবা হয়ে ফিরে গিয়েছিলেন দেশে। তখনই সিদ্ধান্ত যেন নেওয়া হয়ে গিয়েছিল একাধিক সুযোগ নষ্টের স্ট্রাইকারকে সরানোর। সোমবার সেই সিদ্ধান্তই জানিয়ে দিল ইস্টবেঙ্গল। তবে একেবারে আচমকাই। পারস্পরিক সম্মতিতেই এই বিচ্ছেদ সম্পন্ন হয়েছে বলে ম্যানেজমেন্টের তরফে জানানো হয়েছে। ক্লাবের তরফ থেকে লেখা হয়েছে, ‘দিমিত্রিয়স দিয়ামান্তাকোস ও ইস্টবেঙ্গল উভয়পক্ষের সম্মতিক্রমে সম্পর্ক ছিন্ন করছে। ক্লাবে তাঁর অবদানের জন্য দিমিকে ধন্যবাদ জানাই।’
গত মরশুমে কেরালা ব্লাস্টার্স থেকে ২ বছরের চুক্তিতে ইস্টবেঙ্গলে যোগ দেন দিয়ামান্তাকোস। কিন্তু তাঁকে ঘিরে যতটা প্রত্যাশা, সেই মান দেখাতে পারেননি লাল হলুদে। কেরালার হয়ে আইএসএলে সর্বাধিক গোলদাতা হলেও, ইস্টবেঙ্গলে সমস্ত টুর্নামেন্ট মিলিয়ে ৩২ ম্যাচে করেছেন ১২টি গোল। গত মরশুমে আইএসএলে 19 ম্য়াচে মাত্র চার গোল ছিল দিয়ামান্তাকোসের নামের পাশে। ফলে, গ্রিক-গডকে নিয়ে সমালোচনা পিছু ছাড়েনি কখনই। এ বার ডুরান্ড ডার্বিতে জোড়া গোল করে দলকে জেতালেও তাঁর ফুটবলে খুশি ছিলেন না কোচ অস্কার ব্রুজোঁ৷ এমনকি সেমিফাইনালে হারের পর কোনও রাখঢাক না-করেই দলের বিদেশি স্ট্রাইকারের পারফরম্যান্স নিয়ে সরব হয়েছিলেন স্প্যানিয়ার্ড কোচ। এরপরই যেন সিলমোহর পড়ে। অতীতে, আন্তর্জাতিক স্তরে গ্রিক স্কোয়াডের সদস্য ছিলেন দিয়ামান্তাকোস। ২০১২ সালে উয়েফা ইউরোপিয়ান অনূর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপে রানার্স আপ হয়েছিলেন তিনি। এর পাশাপাশি গ্রিসের সিনিয়র ফুটবল দলের হয়েও তিনি পাঁচটি ম্যাচ খেলেছেন। কিন্তু লাল হলুদের মোহভঙ্গ হতে সময় নেয়নি। তাঁকে বিদায় জানানোর অর্থই, ষষ্ঠ বিদেশির আগমন ঘটবে ক্লাবে। সেখানে কোনও চমক আছে কিনা, তাই এখন দেখার।