পৃথিবীটা নাকি ছোট হতে হতে….মহাকাশ ছুঁয়ে ফিরতেই শুভাংশু জড়িয়ে ধরলেন স্ত্রী-ছেলেকে

ট্রেডিং ডেস্ক: ‘ভেবে দেখেছো কি, তারারাও যত আলোকবর্ষ দূরে, তারও দূরে… তুমি আর আমি যাই ক্রমে সরে সরে….’
এ তো আর দেশ-কাল-সীমানার গণ্ডি নয়। পৃথিবী ছাড়িয়ে মহাকাশে। মহাজগতের কাজেই গিয়েছিলেন শুভাংশু শুক্লা। ১৮ দিনের মিশন শেষে ফিরলেন যেন মর্ত্যে। এখানেই যে অপেক্ষায় মা-বাবা-স্ত্রী-ছেলে-ভারতবাসী-বিশ্ববাসী। হাসি মুখে মহাবিশ্ব জয় করে ফিরেছেন শুভাংশু। এতদিন যে তাঁর কাছে পৃথিবীটা ছোট হতে হতে…।
স্ত্রী কামনা আর ছেলে কিয়াশকে দেখতে পেয়েই বুকে জড়িয়ে ধরলেন শুভাংশু। এ যে মায়ার বাঁধন। যেন সব পাওয়া, কাজ শেষের তৃপ্তি। মহাকাশচারী থেকে সংসারী। ১৮ দিন আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে কাটিয়ে অবশেষে পৃথিবীতে ফিরে স্ত্রী-ছেলের সঙ্গে দেখা করলেন ভারতীয় মহাকাশচারী শুভাংশু শুক্লা।

শুভাংশুর সঙ্গে টেক্সাসের হিউস্টনে দেখা করতে আসেন স্ত্রী কামনা শুক্লা ও ৬ বছরের পুত্র কিয়াশ শুক্লা। দুই মাস পর পরিবারের দেখা পেয়ে আবেগে ভাসেন শুভাংশু। সমাজমাধ্যমে এক আবেগঘন বার্তায় শুভাংশু লিখেছেন, ‘এই সফরে চ্যালেঞ্জ ছিল। তারপর ওদের (স্ত্রী ও ছেলেকে) জড়িয়ে ধরাটা ঠিক যেন ঘরে ফিরে আসার অনুভূতি, বাড়ির গন্ধ।
স্পেস মিশনে এক অদ্ভুত জাদু রয়েছে, কিন্তু এই জাদু তৈরি করে মানুষরাই।’ কামনা শুক্লা জানালেন শুভাংশু মহাকাশ থেকে ভালভাবে ফিরেছেন। তারা সেই প্রার্থনা করছিলেন। শুভাংশুর স্ত্রী বলেন, শুভাংশুর সঙ্গে তারা এখন টানা থাকবেন। বহুদিন পর তার ছেলে বাবাকে পেয়েছে। ফলে সেখান থেকে তারা আর কোথাও যাবেন না। এতদিন ধরে যে প্রতীক্ষা তারা করছিলেন সেটা সফল হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘ডকিংয়ের পরপরই ওর ফোন পাওয়াটা ছিল দারুণ একটা সারপ্রাইজ। ওর গলা শুনে নিশ্চিন্ত হতে পারছিলাম যে, ও ঠিক আছে। ও প্রায় প্রতিদিনই ফোন করত— কখনও নিজের কাজ নিয়ে বলত, কখনও স্পেস স্টেশনে করা পরীক্ষার কথা, কখনও মহাকাশে দেখা জীবনের বিচিত্র সব অভিজ্ঞতা’। ফেরার পর বর্তমানে রিহ্যাবিলেশনে রয়েছেন শুভাংশুরা। তার মাঝেই পরিবারের সঙ্গে দেখা। কিন্তু মন মানে না কামনার।এরমধ্যেই শুভাংশুর পছন্দের নানা খাবার রান্না করা শুরু করেছেন তাঁর স্ত্রী। এতদিন যে শুভাংশু বাড়ির রান্না খাননি।