কলকাতা লিগের দুর্দশার মাঝেই আলো দেখাতে বোধন বেঙ্গল সুপার লিগের
স্পোর্টস ডেস্ক: একদিকে যখন দেশের এক নম্বর লিগ আইএসএল নিয়ে ঘোর অনিশ্চয়তা। একদিকে যখন ঘরোয়া কলকাতা লিগ নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। তখন নতুন উদ্যোমে নতুন টুর্নামেন্ট করার স্বপ্ন দেখে ফেলল আইএফএ। শুধু স্বপ্নই নয়, তা শ্রাচী স্পোর্টসের হাত ধরে সত্যিই করতে চলেছে। শুরু হবে এবার বেঙ্গল সুপার লিগ। বাংলার ফুটবলে বাণিজ্যিকরণের জন্যই এই উদ্যোগ। শহরের একটি পাঁচতারা হোটেলে টুর্নামেন্টের লোগো উন্মোচন হয়। আইএফএর পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ব্যাটন তুলে দেওয়া হয় শ্রাচী স্পোর্টসের হাতে।
তবে এই টুর্নামেন্ট কলকাতা কেন্দ্রিক নয়, বরং রাজ্যকেন্দ্রিক হতে চলেছে। বিভিন্ন রাজ্য থেকে মোট আটটি ফ্র্যাঞ্চাইজি নিয়ে শুরু হবে বিএসএল। খেলা হবে চারটে স্টেডিয়ামে। তারমধ্যে শিলিগুড়ির কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়াম, দুর্গাপুরের ভগত সিং স্টেডিয়াম, ব্যারাকপুর স্টেডিয়াম, বহরমপুর স্টেডিয়াম, নৈহাটি স্টেডিয়াম, কৃষ্ণনগর স্টেডিয়াম, ডিএসএ মালদা, হলদিয়ায় দুর্গাচক স্টেডিয়াম এবং বারাসাত স্টেডিয়ামকে প্রাথমিকভাবে রাখা হয়েছে। এখান থেকেই চূড়ান্ত হবে চার স্টেডিয়াম। ঠিক হয়েছে, আট দল নিয়ে শুরু হবে বিএসএল। মোট ৬১টি ম্যাচ। হোম এবং অ্যাওয়ে ফরম্যাটে ৫৬টি ম্যাচ হবে। দুটো সেমিফাইনাল হবে হোম এবং অ্যাওয়ে ভিত্তিক। একটা ফাইনাল। প্রত্যেক দলে অন্তত ২৫ জন ফুটবলার রাখতে হবে।
২ জন বিদেশি ফুটবলার লিগের আকর্ষণ বাড়াতে খেলানোর ভাবনাও রয়েছে। তবে ফ্র্যাঞ্চাইজি অনুযায়ী জেলার ফুটবলার রাখা বাধ্যতামূলকও করা হবে। আইএফএর পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন সভাপতি অজিত ব্যানার্জি, চেয়ারম্যান সুব্রত দত্ত, সচিব অনির্বাণ দত্ত সহ অন্যান্য কর্তারা। শ্রাচী স্পোর্টের পক্ষ থেকে ছিলেন দুই ডিরেক্টর রাহুল টোডি এবং তমাল ঘোষাল। এছাড়াও চাঁদের হাটে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন ফুটবলার ভাস্কর গাঙ্গুলি, সাব্বির আলি, মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য, শ্যাম থাপা, সমরেশ চৌধুরী, প্রশান্ত ব্যানার্জি, বিকাশ পাজি, মিহির বসু, মানস ভট্টাচার্য, বিদেশ বসু, জামশিদ নাসিরি, বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য, সুমিত মুখার্জি, রহিম নবি, অ্যালভিটো ডি কুনহা সহ অন্যান্যরা।