এশিয়া কাপে ভারত-পাক! খেলার পক্ষে সৌরভ, শহিদদের অপমান মনে করছেন অভিষেক

এশিয়া কাপে পাকিস্তানও খেলবে, ভারতও খেলবে। বাংলা কার্যত এমন সিদ্ধান্তে দু’ভাগ। খেলা-রাজনীতি যেন মিলে মিশে যাচ্ছে।একদিকে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের মতো ক্রিকেট তারকা যখন বলছেন, ‘স্পোর্টস মাস্ট গো অন’ তখন বাংলারই সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট বলছেন, ‘শহিদদের অপমান’।
এসিসি’র প্রধান মহসিন নকভি ঘোষণা করেন, সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে ৯ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে, চলবে ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। ভারত-পাকিস্তান মুখোমুখি হবে ১৪ সেপ্টেম্বর। এরপরই উত্তাপ বাড়ছে ক্রিকেটমহল থেকে রাজনীতিমহলে। গোটা দেশ জুড়ে তীব্র আলোড়ন তৈরি হয়েছে। উঠে আসছে পহেলগাঁওয়ের সন্ত্রাস হামলার প্রসঙ্গ। সম্প্রতি ‘ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ অব লেজেন্ডস’-এ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলতে চাননি যুবরাজ সিং, শিখর ধাওয়ান, হরভজন সিংরা। পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পরিপ্রেক্ষিতেই এমন সিদ্ধান্ত নেন ভারতের প্রাক্তনরা। অগত্যা সেই ম্যাচ বাতিল হয়ে যায়। তাহলে কোন যুক্তিতে এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলবেন সূর্যকুমার যাদবরা, উঠছে প্রশ্ন।
প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক ও বিসিসিআইয়ের প্রাক্তন সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, খেলাধুলো অবশ্যই চলতে থাকবে। একই সঙ্গে পহেলগাঁও হওয়া উচিত নয়। কিন্তু খেলাধুলো অবশ্যই হবে। সন্ত্রাসবাদ হওয়া উচিত নয়। তিনি স্পষ্ট বলেন,’ভারত-পাক খেলা হচ্ছে সেটা ঠিক আছে। পহেলগাঁওয়ের মতো ঘটনা হওয়া কখনওই উচিত নয়। সেই সঙ্গে বলতে পারি খেলা বন্ধ হওয়াও ঠিক নয়। আমার মতে স্পোর্টস মাস্ট গো অন। সন্ত্রাসবাদ বন্ধ হওয়া দরকার। সন্ত্রাসবাদ বন্ধ করার জন্য ভারত কঠিন পদক্ষেপ করেছে।’
ঠিক বিপরীত সুর চড়িয়েছেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সমাজ মাধ্যমের এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, ‘পাকিস্তানের সঙ্গে কোনও ক্ষেত্রেই ভারতের সম্পর্ক রাখা উচিত নয়। একমাত্র যুদ্ধক্ষেত্রে পাকিস্তানের সঙ্গে দেখা হবে।
একমাত্র পাক অধিকৃত কাশ্মীর জয়ের লক্ষ্যেই ভারত যুদ্ধে নামবে। ক্রিকেট এবং ক্রিকেটারদের আমি সম্মান করি। কিন্তু মাঠে যখন খেলা হয় তখন আমাদের সেনার রক্ত ঝরে। যে দেশ আমাদের সীমান্ত লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে, তাদের সঙ্গে করমর্দন করাটা মোটেই কূটনীতি নয়, সেটা আসলে বিশ্বাসঘাতকতা। বিনোদনের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আমাদের ন্যায়বিচার। এর থেকে পিছিয়ে আসা মানেই শহিদদের অসম্মান করা।’ বাংলায় শুধু নয়, পহেলগাঁও, অপারেশন সিঁদুরের পর দু’দেশের খেলা নিয়ে সোচ্চার রবিচন্দ্রন অশ্বিন থেকে আজহারউদ্দিন পর্যন্ত। কিন্তু যাই সমালোচনা হোক, এশিয়া কাপ থেকে ভারতের সরে আসার পরিস্থিতি খুবই কম। কারণ, খেলা আরবে হলেও আয়োজক ভারতই। এসিসির বৈঠকে সম্মতিও জানানো হয়ে গেছে ভারতের।
