ইংল্যান্ডের বাজবল ক্রিকেট! পাঁচ সেঞ্চুরিতেও হার বাঁচল না ভারতের

0



অবিশ্বাস্য! দু’ইনিংসে ৮৩৫ রান। পাঁচটা সেঞ্চুরি। এরপরও ম্যাচ বাঁচাতে পারল না ভারত। ইংল্যান্ডের মাটিতে বাজবলের জয়গান। শেষদিনের রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে ৮৪ বল বাকি থাকতে ৫ উইকেটে জয় ছিনিয়ে নিল ইংল্যান্ড। শেষ ইনিংসে ৩৭১ রানের টার্গেট পঞ্চম দিনের পিচে অনায়াসেই তুলে ফেলে ক্রিকেট যে অনিশ্চয়তার খেলা, তা প্রমাণ করে দিল ইংল্যান্ড। সেখানে ভোঁতা হয়েই থাকল বুমরাহ-সিরাজ-কৃষ্ণাদের বোলিং। সর্বোচ্চ ৩৭৮ রান তাড়া করে জয়টা ভারতের বিপক্ষেই, ২০২২ সালের জুলাইয়ে ‘বাজবল’ জমানার শুরুর দিকে। তিন বছরের ব্যবধানে নিজেদের মাটিতে ভারতের বিপক্ষে আরেকটি টেস্ট খেলতে নেমে আবারও সেই ‘বাজবলের’ জয়গান।
চতুর্থ দিন ১০ উইকেট হাতে নিয়ে ২১ রান তুলে দুই ওপেনার বেন ডাকেট ও জ্যাক ক্রলি চতুর্থ দিন শেষ করেন। শেষদিন জয়ের জন্য সাড়ে তিনশো রান দরকার ছিল ইংল্যান্ডের।ইংল্যান্ডের প্রথম উইকেট পড়ে ১৮৮ রানে। সেটার ওপর ভর করেই ম্যাচ ফিনিশ করলেন জো রুট আর জেমি স্মিথ।


রুট ৫৩ রানে অপরাজিত থাকেন। ৪৪ রানে অপরাজিত ইংল্যান্ডের উইকেটকিপার ব্যাটার। তার আগে ক্রলি ৬৫ ও ডাকেট ১৭০ বলে ১৪৯ রানের জয়সূচক ইনিংস খেলেন। ইনিংসে ছিল ১টি ছয়, ২১টি চার।  সেই ইনিংসটাই ব্যবধান গড়ে দিয়েছে। ভারতের বিপক্ষে চতুর্থ ইনিংসে তাঁর ইনিংসটাই ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ। পন্তের জোড়া সেঞ্চুরি ম্লান করে দেওয়া ডাকেটের হাতেই উঠেছে ম্যাচসেরার পুরস্কার।

টসে জিতে ভারতকে ব্যাট করতে পাঠান বেন স্টোকস। ৪৭১ রানে শেষ হয়ে যায় ভারতের প্রথম ইনিংস।সেঞ্চুরি করেন যশস্বী জয়েসওয়াল (১০১), শুভমন গিল (১৪৭) এবং ঋষভ পন্থ (১৩৪)। প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ৪৬৫ রানে শেষ হয় ইংল্যান্ডের ইনিংস। সেঞ্চুরি করেন অলি পোপ (১০৬)। প্রথম ইনিংসের শেষে মাত্র ৬ রানে এগিয়ে ছিল টিম ইন্ডিয়া। পাঁচ উইকেট নেন জসপ্রীত বুমরাহ। দ্বিতীয় ইনিংসে কেএল রাহুল এবং ঋষভ পন্থের ব্যাটে ভর করে সাড়ে তিনশো রানের গণ্ডি পেরোয় টিম ইন্ডিয়া। বাকিরা ডাহা ব্যর্থ। দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৬৪ রানে অলআউট হয়ে যায় ভারতীয় দল।

About The Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *