ইংল্যান্ডে বঙ্গপেসারের দাপট, পাহাড়প্রমাণ রান তাড়ায় চাপে ইংল্যান্ড

এজবাস্টনে কি নতুন ইতিহাস লিখবে ভারত। দ্বিতীয় দিনে চালকের আসনে টিম ইন্ডিয়া। ততটাই চাপে ইংল্যান্ড। ভারত প্রথম ইনিংস শেষ করেছে ৫৮৭ রানে। ইংল্যান্ড ৭৭ রান তুলতে খুইয়েছে ৩ উইকেট। ব্রিটিশদের বল হাতে চমকে দিয়েছেন বঙ্গপেসার আকাশদীপ। এই ম্যাচে সুযোগ পেয়েছেন জসপ্রীত বুমরাহ বিশ্রাম নেওয়ায়। তাতেই ৭ ওভার হাত ঘুরিয়ে আকাশদীপ তুলে নিয়েছেন মূল্যবান ২ উইকেট। অন্যটা সিরাজের শিকার। প্রথম দিন ভারত থেমেছিল ৫ উইকেটে ৩১০ রানে। গিল খেলছিলেন ১১৪ রানে। সেখান থেকেই জাদেজাকে নিয়ে দ্বিতীয় দিন টানতে থাকেন গিল। তৈরি হতে থাকে রানের পাহাড়। ৩৮৭ বলের ম্যারাথন ইনিংসে ৩০টি বাউন্ডারি হাঁকিয়ে গিল থেমেছেন ২৬৯ রানে। আছে ৩টি ছক্কার মারও। তাতে একাধিক নজির গড়েন ভারত অধিনায়ক। গিল ছাড়া বাকি ব্যাটাররা কেউ সেঞ্চুরি পাননি। সম্ভাবনা তৈরি করেও যশস্বী জয়সওয়াল ৮৭ আর রবীন্দ্র জাদেজা খেলেন ৮৯ রানে সাজঘরের পথ ধরেন। ২ দিনে অধিনায়ক গিলের সঙ্গে ২০৩ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। জাদেজার ৮৯ রানে সাজানো ছিল ১০টি চার ও একটি ছক্কা। জাদেজার পর ওয়াশিংটন সুন্দরও যোগ্য সঙ্গ দেন শুভমন গিলকে। খেললেন ৪২ রানের ইনিংস। সপ্তম উইকেটে শুভমন-ওয়াশিংটনের জুটিতে আসে ১৪৪। তার পরেও শেষ তিন উইকেটে এসেছে আরও ২৯ রান।শুভমন আউট হতেই ভারতের অবশ্য গুটিয়ে যেতে সময় লাগেনি। জবাবে খেলতে নেমে ১৩ রানে পরপর দুই উইকেট খোয়ায় ইংল্যান্ড। বাংলার আকাশদীপের বলে বেন ডাকেট (০) এবং ওলি পোপ (০) ফিরে যান। কিছু সময় পরই ১৯ রান করে মহম্মদ সিরাজের বলে আউট হয়ে যান জ্যাক ক্রলি। স্কোর ২৫/৩। এখান থেকেই লড়াই শুরু জো রুট (অপরাজিত ১৮) ও হ্যারি ব্রুকের (অপরাজিত ৩০)। দিনের শেষে তাঁরা টিকে থেকে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। ইংল্যান্ড এখনও পিছিয়ে ৫১০ রানে। ভারতের হাতে রয়েছে ৩ দিন।