এ লজ্জা…বিশ্বকাপ স্বপ্ন! ভারত এখনও এশিয়া সেরার লড়াইয়ে ঠাঁই পায় না!

0

 

একসময় বলা হত বিশ্ব ফুটবলের ‘ঘুমন্ত দৈত্য’ ভারত। সেই ঘুম আর যেন ভাঙে না! ঘুমোতে ঘুমোতে মৃতপ্রায় অবস্থা!
৫ লাখ জনসংখ্যার ছোট্ট দ্বীপ দেশ কেপ ভার্দে, তারা এ বার বিশ্বকাপে যোগ্যতা অর্জন করে ফেলল। ১৪ বছর বিরতি দিয়ে আবারও বিশ্বকাপের মঞ্চে ফিরে এসেছে বাফানা বাফানারা দক্ষিণ আফ্রিকা। দেড় দশক বাদে বিশ্বকাপে জায়গা করে নিয়েছে ভুভুজেলার দেশ আইভরি কোস্ট। চমকে দিয়েছে জর্ডনও। আর ১৪২ কোটির দেশ, ভারত, বিশ্বকাপ তো দূর অস্ত, এশিয়া সেরার লড়াইয়েও ঠাঁই পায় না। এ লজ্জা! না ব্যর্থতা!
দশবছর আগে অর্থাৎ, ২০১৫ এশিয়ান কাপের যোগ্যতা অর্জনে ব্যর্থ হয়েছিল ভারত৷ দশ বছর পর একই ছবি! ক্রমশ পিছোচ্ছে প্রায় দেড়শো কোটি জনসংখ্যার ভারত। গত দুই সংস্করণে এশিয়ান কাপ খেললেও পারফরম্যান্স মোটেই আহামরি ছিল না ভারতের ৷ ছ’টি ম্যাচ খেলে একটাতে জিতে গ্রুপ পর্বের গণ্ডি পেরোতে ব্যর্থ হয়েছিলেন সুনীলরা। এ বার যোগ্যতা অর্জন পর্বে চার ম্যাচ খেলে ভারতের ঝুলিতে পয়েন্ট মাত্র দুই ৷ ঘরের মাঠে ফিফা ক্রমতালিকায়২৪ ধাপ পিছিয়ে থাকা সিঙ্গাপুরের বিরুদ্ধে লিড নিয়েও ১-২ গোলে হারতে হয় ভারতকে। ২০১৮ সালে উজবেকিস্তানের ফিফা র্যাঙ্কিং ছিল ৯৫, জর্ডনের ছিল ১১০ আর ভারতের ছিল ৯৭। উজবেকিস্তানের জনসংখ্যা প্রায় ৪ কোটি। জর্ডনের জনসংখ্যা ১.১৪ কোটির একটু বেশি। ভারতের জনসংখ্যা প্রায় ১৫০ কোটি। তারা কোথায় আর ভারত কোথায় এখন!ফিফা ক্রমতালিকায় ক্রমশ যেন নেমেই চলেছে তারা। আর নামতে নামতে এখন গিয়ে থেমেছে ১৩৩ নম্বরে।
কোচ আসে, কোচ যায়। ফুটবলের কোনও উন্নতি হয় না। কখনও বিদেশি কোচে ভরসা, কখনও দেশী কোচ! আশা বেড়েছে আর স্বপ্ন ভেঙেছে। করুণ ছবি বদলায়নি। জাদুকাঠির ছোঁয়া দিতে পারেনি কোনও কোচই। এখনও ৪১ বছরের সুনীলই শেষ ভরসা। কিন্তু তাঁর কাঁধে বন্দুক রেখে সত্যিই কি এগোবে ভারতীয় ফুটবল?

About The Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *