এশিয়া কাপের কোয়ালিফায়ারে মঙ্গোলিয়াকে ১৩ গোলের মালা পরাল ভারতীয় মেয়েরা

একদিকে যখন ভারতীয় পুরুষ ফুটবল দল ব্যর্থ হচ্ছে, ক্রমতালিকায় পিছিয়ে পড়ছে, এমনকি এশিয়ান কাপে যোগ্যতা অর্জন করতে গিয়েও কোনঠাসা, তখন জ্বলে উঠল ভারতের নারীশক্তি। এএফসি এশিয়ান কাপের যোগ্যতা পর্বের প্রথম ম্যাচে ভারতের মেয়েরা ‘ছেলেখেলা’ই করল মঙ্গোলিয়ার বিরুদ্ধে। থাইল্যান্ডে একটা নয়, দুটো নয়, ১৩-০ গোলে জিতল ভারতের মেয়েরা। মহিলাদের এশিয়ান কাপে এটাই ভারতের সবচেয়ে বড় জয়। এর আগে দু’বার তারা ১০-০ ব্যবধানে গুয়ামকে হারিয়েছিল। সেটা ১৯৯৭ সালে ও ২০০৫ সালে। শেষ চার মাসে এটাই ভারতের মহিলা দলের প্রথম জয়। চলতি মাসের গোড়ার দিকে পিঙ্ক লেডিস কাপে ভারত হারিয়েছিল জর্ডনকে। এছাড়াও রাশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া ও উজবেকিস্তানের কাছে হার মানতে হয় ভারতের মেয়েদের। তাতে ফিফার ক্রমতালিকায় ৭০ হয়ে গিয়েছিল ভারতের মহিলা ফুটবল দল। একাই পাঁচটি গোল করেছেন স্ট্রাইকার পেয়ারি ঝাঝা। দু’টি করে গোল করেছেন সৌম্যা গুগুলথ এবং প্রিয়দর্শিনী সেল্লাদুরাই। একটি করে গোল সঙ্গীতা বাসফোর, রিম্পা হালদার, মালবিকা এবং গ্রেস ডাংমেইয়ের। এই ম্যাচের দুই অর্ধেই ভারতীয় ফুটবলাররা দাপুটে পারফরম্যান্স করে। ১২৬ নম্বর র্যাঙ্কিংয়ে থাকা মঙ্গোলিয়া দল কোনওভাবেই দাঁত ফোটাতে পারেনি। শুরু থেকেই টিম ইন্ডিয়ার দাপট দেখতে পাওয়া যায়। প্রথম ৪৫ মিনিটেই তারা ৪-০ গোলে এগিয়ে যায়। ভারতের হয়ে প্রথম গোলটি করেন সঙ্গীতা বাসফোর। ২০ মিনিটে দ্বিতীয় গোলটি করেন সৌম্য গুগুলথের। ২৯ ও ৪৫ মিনিটে জোড়া গোল করেন পেয়ারি ঝাঝা। দ্বিতীয়ার্ধেও গোলের শুরু করেন সেই পেয়ারিই। এরপর ১০ মিনিটের মধ্যেই করেন আরও দু’গোল। ৫৯ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন সৌম্য। ৬৭ মিনিটে রিম্পা, ৭১ মিনিটে মালবিকা ও ৭৫ মিনিটে গ্রেস ডাংমেই পেনাল্টি থেকে গোল করেন। ৭৩ ও ৮৬ মিনিটে দুটি গোল করে যান প্রিয়দর্শিনীও। সব মিলিয়ে ১৩ গোলের মালা পরায় মঙ্গোলিয়াকে। তবে এটা ভারতীয় মহিলা দলের সর্বোচ্চ জয় নয়। ২০১০ সালে ভুটানকে ১৮-০ গোলে হারিয়েছিল ভারত। যোগ্যতা পর্বে ভারতের সঙ্গে একই গ্রুপে রয়েছে মঙ্গোলিয়া, টিমোর লেস্তে, ইরাক এবং থাইল্যান্ড। গ্রুপের সেরা দল মূলপর্বে পৌঁছবে। ভারতের পরবর্তী ম্যাচ টিমোর লেস্তের সঙ্গে।