অন্ধকারে দেশের ১ নম্বর লিগ! আইএসএলে আগ্রহী নয় কোনও সংস্থাই, জমা পড়ল না বিড
তলানিতে ভারতীয় ফুটবল। অন্ধকারে দেশের এক নম্বর লিগ আইএসএল। কোন পথে এগোবে ফুটবল? আদৌ কি ইন্ডিয়ান সুপার লিগ হবে? হলেও কি পুরোনো জৌলুস ফিরবে টুর্নামেন্টের? প্রশ্নটা এখন সত্যিই কঠিন, তাই উত্তর জানা নেই কারোরই। শুধু আশা আর আশা। ক্রমশ যেন দরজা বন্ধ হচ্ছে আইএসএলের।
আইএসএল করার জন্য নতুন করে বিড ডাকা হয়েছিল। ৫ নভেম্বর ছিল বিড জমা দেওয়ার শেষ তারিখ। এফএসডিএলের দিকে ভারতীয় ফুটবল প্রেমীরা তাকিয়ে থাকলেও, সবাইকে হতাশ করে তারা বিড জমা দেয়নি। আগ্রহ দেখায়নি নতুন কোনও সংস্থাও। ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন উপায় বেগতিক দেখেই আরও দু’দিন বাড়িয়ে বিড জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ৭ নভেম্বর করে দিয়েছিল । এর মধ্যে ফেডারেশন সভাপতি কল্যাণ চৌবে নিশ্চয়ই তদ্বির করেছিলেন বিভিন্ন সংস্থাকে। কিন্তু তাতেও শুধু হতাশা। শুক্রবারও আইএসএলে বিড করল না এফএসডিএল। বিড করল না অন্য কোনও সংস্থাও। ফলে, অন্ধকারে ডুবল দেশের একনম্বর ফুটবল টুর্নামেন্ট।

আগামী মাসেই এফএসডিএল-এর সঙ্গে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে। এই চুক্তি নবীকরণের কোনও রাস্তাই যেন খোলা দেখতে পাচ্ছে না ফুটবলপ্রেমীরা। অন্য কোনও সংস্থাও আইএসএল আয়োজনের দায়িত্ব নিতে চাইছে না। ১৬ অক্টোবর রিকোয়েস্ট ফর প্রোপোজাল দেয় এআইএফএফ। এরপর শুধু আশায় আশায় দিনই নষ্ট হল।
এক দশক আগে জাঁকজমকপূর্ণভাবে যে নতুন লিগ শুরু করা হয়েছিল, সেই আইএসএল-এর চুক্তি শেষের পথে বিডে অংশ নেওয়ার আগে ফেডারেশনের কাছে বেশ কিছু শর্ত রেখেছিল এফএসডিএল। সূত্রের খবর, বিড জমা দেওয়ার আগে এফএসডিএল প্রায় ২০০টি প্রশ্ন পাঠিয়েছিল ফেডারেশনের টেন্ডার কমিটির কাছে। কমিটি সেই প্রশ্নগুলির বিস্তারিত উত্তরও দেয়। তবে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে এফএসডিএলের সঙ্গে কমিটির মতভেদ থেকেই যায়। তাই বিডে শেষপর্যন্ত অংশ নেওয়ার আগ্রহ দেখায়নি এফএসডিএল। নতুন বিডাররাও আগ্রহ হারিয়েছে। ফলে এখন প্রশ্ন উঠছে, আইএসএল আদৌ হবে কি না, হলে কবে হবে? যদি নভেম্বরের শেষ দিকেও কোনও সংস্থা দায়িত্ব না নেয়, তাহলে জানুয়ারির শেষ বা ফেব্রুয়ারির আগে লিগ শুরু করা কার্যত অসম্ভব বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
