জাপান তাল কাটল সাম্বা ছন্দের! ব্লু সামুরাইরা প্রথমবার হারিয়েই দিল এগিয়ে থাকা ব্রাজিলকে

এই প্রথম। এশিয়ার কোনও দেশের কাছে তাল কাটল সাম্বা ছন্দের। ২-০ গোলে এগিয়ে থেকেও জাপানের কাছে ৩-২ গোলে হেরে গেল ব্রাজিল। তাতেই জাপানের ফুটবলে নতুন ইতিহাস রচিত হল। প্রথমবারের মতো ব্রাজিলকে হারাল সামুরাই ব্লু’সরা। ব্রাজিল জাতীয় দলের দায়িত্ব নেওয়ার পর এই প্রথম হারের স্বাদ পেলেন কার্লো আন্সেলোত্তি।
টোকিওর আজিনোমোতো স্টেডিয়ামে প্রীতি ম্যাচে প্রথমার্ধে ২-০ গোলে এগিয়েছিল ব্রাজিল। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে আয়োজক জাপান তিন গোল দেয় সেলেকাওদের জালে। শেষ মুহূর্তে প্রবল চেষ্টার পরও আর কোনো গোল বের করতে পারেনি ব্রাজিলিয়ানরা। যার ফলে ৩-২ গোলের পরাজয় নিয়েই মাঠ ছাড়তে হলো ভিনিসিয়ুস জুনিয়রদের। গত সপ্তাহে সিউলে দক্ষিণ কোরিয়াকে ৫-০ গোলে হারিয়েছিল ব্রাজিল। টোকিওয় জাপানকেও বড় ব্যবধানে হারাবে সেলেকাওরা, এমনটাই মনে করেছিলেন ফুটবল বিশেষজ্ঞরা।খানিকটা অচেনা একাদশ নিয়ে শুরু থেকেই চাপে ছিল ব্রাজিল। জাপানের গতি আর হাই প্রেসিংয়ে বারবার পরাস্ত হচ্ছিল ব্রাজিলিয়ানরা। একের পর এক আক্রমণে গোলের সম্ভাবনা জাগাচ্ছিল জাপান। তবে শুরুর ঝড় সামলে প্রতি আক্রমণ চালাতে থাকে ব্রাজিলও। ব্রাজিলের পাওলো হেনরিকে ও গ্যাব্রিয়েল মার্তিনেল্লির গোলে ম্যাচের ৫১ মিনিট পর্যন্ত ২-০ গোলে পিছিয়ে ছিল জাপান। এরপর ১৯ মিনিটের মধ্যে ব্রাজিলের জালে তিনবার বল পাঠিয়ে এগিয়ে যায় জাপান। প্রথম গোল হজমের পর মার্তিনেল্লি, ভিনিসিয়ুস ও ব্রুনোকে তুলে যথাক্রমে রদ্রিগো, ম্যাথিয়াস কুনিয়া ও জোয়েলিন্টনকে নামিয়েছিলেন আন্সেলোত্তি। যদিও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। জাপানের দুরন্ত গতির ফুটবলের সামনে ব্রাজিল যেন খাবি খাচ্ছিল। রক্ষণভাগেও চাপ বাড়ছিল। যার খেসারত দিতে হয়েছে পরপর আরও দুই গোল হজম করে। জাপানের হয়ে গোল তিনটি করেছেন তাকুমি মিনামিনো, কেইতো নাকামুরা ও আয়াশি উয়েদা। শেষ পর্যন্ত আর গোল শোধ করতে পারেনি ব্রাজিল। ১৪ বারের চেষ্টায় ব্রাজিলের বিপক্ষে জাপানের এটাই প্রথম জয়। ব্রাজিল শেষ এশিয়ান কোনো দলের কাছে হেরেছিল ২০০১ সালে। কনফেডারেশনস কাপের সেই ম্যাচে ব্রাজিলের প্রতিপক্ষ ছিল অস্ট্রেলিয়া। ১৯৯৯ সালে এক প্রীতি ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে ১-০ গোলে হেরেছিল ব্রাজিল। তবে এভাবে লজ্জার হার, এই প্রথম।