অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ কসবা আইন কলেজ, ধৃতদের হল ডিএনএ টেস্ট

কয়েকজন ছাত্রের বেয়াদপি। অসামাজিক কাজকর্ম। ধর্ষণের মতো ঘটনায় দক্ষিণ কলকাতা আইন কলেজ আপাতত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হল। আগামী নোটিস না দেওয়া পর্যন্ত কলেজ ভবন বন্ধ থাকবে বলে নোটিশ জারি হয়েছে। আপাতত গভর্নিং বডির সিদ্ধান্তক্রমে সমস্ত বিএ.এলএলবি ও এলএল.এম ক্লাস বন্ধ থাকবে। তাতে অনিশ্চিত হয়ে গেল পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ। কলেজ কর্তৃপক্ষের তরফে এ ব্যাপারে সরকারিভাবে কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও পাওয়া যায়নি। এদিকে গণধর্ষণের ঘটনায় কসবা সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ক্ষোভের আগুন বাড়ছে।দোষীদের শাস্তির দাবিতে সোমবার আইনের পড়ুয়া ও জুনিয়র আইনজীবীদের পক্ষ থেকে কসবা পোস্ট অফিস মোড়ে প্রতিবাদে শামিল হয় । বিভিন্ন কলেজ থেকে শতাধিক আইনের পড়ুয়া ও জুনিয়র আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন।

সাউথ ক্যালকাটা আইন কলেজের সামনের রাস্তায় মিছিল এবং কলেজ ক্যাম্পাসের সামনে দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভ দেখানো হয়। সুপ্রিম কোর্ট থেকে হাই কোর্টে একাধিক জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছে বিভিন্ন ইস্যুতে। এদিকে গণধর্ষণের ঘটনায় সোমবার মেডিক্যাল কলেজে ধৃত তিন মনোজিত মিশ্র, প্রমিত মুখার্জি, জইদ আহমেদের ডিএনএ টেষ্ট হয়েছে।

সেগুলি স্যাম্পল করে ফরেনসিক টেষ্টে পাঠানো হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে নির্যাতিতার বয়ানের সঙ্গে মিলে যাচ্ছে অত্যাচারের ঘটনা বলে জানায় পুলিশ।পুলিশ আরও জানিয়েছে, নির্যাতিতার ও তিন অভিযুক্তের পোশাক ফরেনসিক টেষ্টে পাঠানো হয়েছে।নির্যাতিতার দু’বার মেডিকেল টেষ্ট হয়েছে, একবার ন্যাশানাল মেডিকাল কলেজে আর একবার মেডিক্যাল কলেজে। পুলিশ জানায়, মেডিক্যাল কলেজে দ্বিতীয পরীক্ষায় যৌন নির্য়াতনের চিহ্ন পাওয়া গেছে, রক্তপাত হয়েছে। এছাড়া পুলিশ জানায় মনোজিত মিশ্রর নামে আগে কিছু পুলিশের রেকর্ড আছে। তদন্ত কোন পর্যায়ে তা সরেজমিনে খতিয়ে দেখতেই সন্ধেতেই কসবা থানায় আসেন পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা।
