১৩ বছর পর ভারতীয় ফুটবলে আবার স্বদেশী কোচে আস্থা, গুরুদায়িত্বে খালিদ জামিলই

0

অবশেষে শূন্যপদ পূরণ করতে পারল ফেডারেশন।  ব্লু টাইগার্সদের হেডস্যর হলেন খালিদ জামিল। ২০১১-১২ মরশুমে সাবিও মেডেইরার পর এই প্রথম কোনও ভারতীয় কোচ জাতীয় দলের দায়িত্ব পেলেন। যিনি জামশেদপুর এফসির কোচ হিসেবে দায়িত্ব সামলেছেন গত মরশুমেও। মানোলো মার্কেজের স্থলাভিষিক্ত হলেন জামিল। প্রসঙ্গত, প্রায় একবছরের বেশি সময় ধরে জয়ের মুখ না দেখার পর গত মাসে পদত্যাগ করেন মানোলো। ঠিক এক সপ্তাহ আগে, দিল্লীর ফুটবল হাউজ একতি বিবৃতি দিয়ে জানায় যে, ভারতীয় দলের কোচ হতে চেয়ে মোট ১৭০টি আবেদন তাদের কাছে জমা পড়েছে। এরপর সেগুলি খতিয়ে দেখবে ফেডারেশনের টেকনিক্যাল কমিটি। তারপর বিবেচনা করে কোচের নাম চূড়ান্ত করা হবে। তখন থেকেই খালিদ জামিলের নামই শোনা যাচ্ছিল। আবেদন করেছিলেন বাংলার সন্তোষজয়ী কোচ সঞ্জয় সেনও। তবে বাছাই করা শেষ তিন জনের মধ্যে প্রধান কোচের দৌড়ে জামিল ছাড়াও ছিলেন স্টিফেন কনস্ট্যানটাইন এবং স্লোভাকিয়ার ম্যানেজার স্টিফন টারকোভিচ। কিন্তু, শেষপর্যন্ত খালিদ জামিলই বাজিমাত করলেন। ৪৯ বছর বয়সী খালিদ ভারতীয় ফুটবলে পরিচিত নাম। আইজল এফসি-কে আই লিগ জেতানো, আইএসএলে নর্থইস্ট ইউনাইটেড এবং জামশেদপুর এফসিতে কোচ হিসেবে সাফল্য— সব মিলিয়ে তাঁর অভিজ্ঞতা প্রমাণিত। ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগানেও কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। এর আগে অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশনের টানা দ্বিতীয়বারের জন্য  ‘এআইএফএফ বর্ষসেরা কোচ’ পুরস্কারে সম্মানিত করেছিল।  তিনিই একমাত্র ভারতীয় কোচ যিনি একটি আইএসএল দলকে প্লে-অফে নিয়ে গেছেন। খালিদ জামিল কোচ হিসেবে নিযুক্ত হলেও তাঁর চুক্তি হবে ডিসেম্বর পর্যন্ত। ভারতীয় পুরুষ ফুটবল দলের কোচ হিসেবে খালিদ জামিলের প্রথম অভিযান কাফা নেশনস কাপে। সেপ্টেম্বরে এশিয়ান কাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বে দু’টি ম্যাচ রয়েছে ভারতের। তার অন্তত এক মাস আগে নতুন কোচ বেছে ফেলতে চাইছে ফেডারেশন, যাতে দল গড়তে যথেষ্ট সময় পাওয়া যায়। ভারতে দীর্ঘ দিন কোচিং করানোয় জামিল প্রায় সব ফুটবলারকেই চেনেন। এখন দেখার, কী ভাবে তাঁদের থেকে সেরাটা বার করে আনতে পারেন তিনি।

About The Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *