শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে জয় করেই এ বারের মিস ইউনিভার্স ফতিমা, ব্যর্থ ভারতের মণিকা
‘মিস ইউনিভার্স ২০২৫’। এ বারের আসরে সব আলো কেড়ে নিলেন মেক্সিকোর ফতিমা বোশ। ১২০ দেশের প্রতিযোগীকে পরাজিত করে থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ৭৪ তম মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় মেক্সিকোর ফতিমা বোশের মাথায় উঠল সেরার মুকুট। এই প্রতিযোগিতায় প্রথম রানার আপ হন থাইল্যান্ডের বীনা প্রবীণার সিং। দ্বিতীয় রানার আপ হয়েছেন ভেনেজুয়েলার স্টেফেনি আবাসালি, আর তৃতীয় রানার আপ ফিলিপাইনের প্রতিযোগী মা আহতিসা মানালো। আর ভারত? রতীয় প্রতিযোগী মণিকা বিশ্বকর্মা এবারে শীর্ষ ৩০–এর বেশি এগোতে পারেননি। জায়গা পাননি সেরা ১২তে।

তাবাস্কো থেকে উঠে আসা মেক্সিকোর প্রথম ‘মিস ইউনিভার্স’ ফতিমা বোশ। দর্শকদের মুগ্ধ করলেও ফতিমার পথচলাটি মোটেও সহজ ছিল না। বিচারকদের করা দুটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তরে আত্মবিশ্বাস, স্পষ্টতা ও দৃঢ়তার পরিচয় দিয়ে সবার মন জয় করেন নেন মেক্সিকোর ফতিমা। কয়েকদিন আগে আয়োজক নাওয়াত ইৎসারাগ্রিসিলের কাছ থেকে ‘ডাম্বহেড’ মন্তব্য শুনে ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন ফতিমা। তখনই তিনি জানিয়ে দেন- ‘আমি কোনো পুতুল নই।’ এমনকি অন্যায় মন্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে প্রতিযোগিতা থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্তও নিয়েছিলেন তিনি। তা নিয়ে সমাজ মাধ্যমে ঝড় ওঠে। ফাইনালের মঞ্চেও সেই সাহসের ছাপ রাখেন ২৫ বছর বয়সী ফতিমা। মেক্সিকোতে ফ্যাশন ডিজাইন নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। স্কুলজীবনে ডিসলেক্সিয়া ও এডিএইচডির কারণে বুলিংয়ের শিকার হওয়ার কথা তিনি খোলাখুলিভাবে স্বীকার করেন।
ছোটবেলাতেই বয়সে তাঁর ডিসলেক্সিয়া, ADHD ও হাইপারঅ্যাকটিভিটি ধরা পড়ে। কিন্তু তা বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি। ২০১৮ সালে তাবাস্কোতে ‘ফ্লোর ডি ওরো’ খেতাব জয়ের মধ্য দিয়ে শুরু হয় তার সৌন্দর্য প্রতিযোগিতার পথচলা। নাম ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে আনন্দে আপ্লুত হয়ে মঞ্চেই কেঁদে ফেলেন তিনি। বিশ্বকে যেন জানালেন শৈশবের শারীরিক প্রতিবন্ধকতা মনের জোরেও জয় করা যায়। ডেনমার্কের গতবারের মিস ইউনিভার্স ভিক্টোরিয়া কেয়ার থেইলভিগ ফতিমার মাথায় বিজয়ীর মুকুট পরিয়ে দেন। এ বছর বিচারকদের মধ্যে ছিলেন ভারতের ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় সাইনা নেহওয়াল।

