গোয়ার বিরুদ্ধে প্রস্তুতি ম্যাচে কেমন খেললেন রবসন? বাগানের শাস্তি জুটল অন্য কারণে
স্পোর্টস ডেস্ক: এ বার মরসুম শুরু থেকে মোহনবাগানের সময়টা ভাল যাচ্ছে না। কলকাতা লিগে জুনিয়র দল সুপার সিক্সে যেমন উঠতে পারেনি, তেমনই ডুরান্ড কাপে ডার্বি হারের পাশাপাশি ইস্টবেঙ্গলই বিদায় করিয়ে দিয়েছে সবুজ মেরুন ব্রিগেডকে। তবে এসব কিছুই নয়, মোহনবাগানের পাখির চোখ একটাই, এসিএল-টু। যে কারণে জাতীয় দলেও ফুটবলার ছাড়তে রাজি হয়নি ম্যানেজমেন্ট। এসিএল টু’য়ের গ্রুপ পর্বে রাউন্ড রবিন লিগের মাধ্যমে হোম এবং অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলবে প্রত্যেক ক্লাব। ১৬ সেপ্টেম্বর যুবভারতীতে মোহনবাগানের প্রতিপক্ষ তুর্কমেনিস্তানের আহাল এফসি।
মঙ্গলবারই এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে নিজেদের শক্তি যাচাই করে নিয়েছেন হোসে মোলিনা। তবে ক্লোজড ডোর সেই ম্যাচ। যেখানে রবসনের পরীক্ষাও হয়ে যায়।এফসি গোয়াও এসিএল-২ খেলবে। কিশোর ভারতী স্টেডিয়ামে এই ম্যাচ হয়। তবে কোনও পক্ষই কোনও গোল করতে পারেনি। মূলত, চোট আঘাত থেকে বাঁচিয়ে খেলতে গিয়েই প্রবল আক্রমণে যায়নি কোনও পক্ষই। টিম কম্বিনেশন থেকে ফিটনেস দেখে নেওয়াই প্রধান লক্ষ্য ছিল বাগান কোচ হোসে মোলিনার। মোহনবাগানের গোলরক্ষকের দায়িত্বে ছিলেন বিশাল কাইথ। এছাড়া প্রথম একাদশে চার ডিফেন্ডার হিসাবে ছিলেন মেহতাব সিং, টম অলড্রেড, অভিষেক সিং ও আশিস রাই। মাঝমাঠে ছিলেন আপুইয়া, দীপক টাংরি, লিস্টন কোলাসো ও কিয়ান নাসিরি। তারওপরে ছিলেন সাহাল আবদুল সামাদ ও একমাত্র স্ট্রাইকার হিসাবে খেলেন জেসন কামিন্স।
এদিন দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নামেন শুভাশিস বোসও। ৮০ মিনিটে লিস্টনের পরিবর্তে রবসন, কামিংসের পরিবর্তে ম্যাকলরেন ও সুহেলের জায়গায় নামানো হয় পেত্রাতোসকে। কিছুদিন আগেই রবসন মোহনবাগানে যোগ দেন। ফিটনেস নিয়েও প্রশ্ন ছিল। এদিন তাঁকে অনেকটা পরে নামানো হয়। অন্যদিকে, ঘরোয়া লিগে মেসারার্স ম্যাচে দল নামায়নি মোহনবাগান। তারজন্য শাস্তিও পেল সবুজ মেরুন। মেসারার্স ক্লাবে পুরো তিন পয়েন্ট দেওয়ার পাশাপাশি মোহনবাগানের থেকে ২ পয়েন্ট কেটে নেওয়া হয়। অন্যদিকে সাদার্নও দল নামায়নি ডায়মন্ডহারবারের বিরুদ্ধে। তাদেরও একই শাস্তি দেওয়া হয় নিয়ম মেনেই।