গোল করতে ও করাতে ভালবাসি… নেইমারের বিরুদ্ধে খেলার পর বাগানে রবসন

0

স্পোর্টস ডেস্ক: সামনেই এএফসির লড়াই। তার আগে মোহনবাগানে ষষ্ঠ বিদেশি হিসাবে সই করে ফেললেন ব্রাজিলিয়ান রবিনহো রবসন। সোমবার কলকাতায় চলে আসছেন রবিনহো। তিনি এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগ টু-তে সবুজ-মেরুন জার্সি পরে প্রথমবার মাঠে নামবেন। এরপর সুপার কাপেও খেলবেন এই উইঙ্গার। ডার্বি এবার উপভোগ্য হয়ে উঠবে দুই ব্রাজিলিয়ানের লড়াইয়ে। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইস্টবেঙ্গলের কোচ অস্কার ব্রুজো ভালভাবেই জানেন রবসনকে। তাঁর অধীনেই খেলেছেন বসুন্ধরা কিংসে। বসুন্ধরার জার্সিতে খেলার সময়ে মিগুয়েলের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েছিলেন রবসন।

এরপরই বাংলাদেশ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন। ব্রাজিলিয়ান মানেই নেইমার কানেকশন থাকবেই। ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টারের বিরুদ্ধে খেলার অভিজ্ঞতাও রয়েছে রবসনের। তিনি বলেন, ‘নেইমারের বিরুদ্ধে মাঠে নেমে খেলাটা আমার কাছে সম্মানের। গত ফেব্রুয়ারিতে সাওপাওলো লিগের একটি ম্যাচে ওর বিরুদ্ধে খেলেছিলাম। ওই দিনটার কথা আমার কাছে সারাজীবন স্মরণীয় হয়ে থাকবে।’ মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের চুক্তিতে সই করার পর এমবিএসজি মিডিয়াকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রবসন বলেছেন, ‘এর আগে বসুন্ধরার হয়ে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের বিরুদ্ধে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। তখন থেকেই জানি মোহনবাগান ভারতের সেরা ও সফলতম ক্লাব। ওই ম্যাচে আমি কীরকম খেলেছিলাম তা সবুজ–মেরুন সমর্থকদের নিশ্চয়ই মনে আছে। এবার সেই সবুজ মেরুন জার্সি পরেই আমি সেরকমই সাফল্য পাব আশা করছি। অপেক্ষা করুন।’

সোমবার এসেই এসিএলের প্রস্তুতি শুরু করে দেবেন তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ৯৭ টা ম্যাচ খেলে করেছেন ৬৪টি গোল। সতীর্থকে গোল করার বল সাজিয়ে দিয়েছেন ৪৯টি। রবসন বলেছেন, ‘গোল করতে ও করাতে ভালবাসি। কিন্তু সবার উপরে টিম গেম আসল। দলকে সাফল্য এনে দেওয়াই একমাত্র লক্ষ্য।’ মোহনবাগান দল প্রি সিজন করার বিশেষ সময় না পেলেও, রবসন কিন্তু খেলার মধ্যেই আছেন। সাও পাওলো লিগে খেলেছেন। ফলে আত্মবিশ্বাসের ফুটছেন এই তারকা। বলেন, ‘আমি খেলার মধ্যেই আছি। নিজেকে ফিট রাখার জন্য নিয়মিত ফিজিক্যাল ট্রেনিং করি। দু সপ্তাহ সময় পেলেই আমি টিমের সঙ্গে সব দিক থেকেই মানিয়ে নিতে পারব বলে আশা রাখি। আমার নিজের বিশ্বাস, মোহনবাগানের প্রথম এ এফ সি ম্যাচের আগেই আমি দলের একজন কার্যকর ফুটবলার হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারব।’

About The Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *