টুটু-অঞ্জন জমানার পর বাগানকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্বে দেবাশিস-সৃঞ্জয় জুটি

0




একসময় টুটু বসু সভাপতি, তাঁর বন্ধু অঞ্জন মিত্র সচিব- মোহনবাগানের তরী তরতর করে এগিয়েছিল। কালের নিয়মে জমানার বদল এসেছে। অঞ্জন মিত্র আর নেই। আর টুটু বসু থেকেও এখনও পর্যন্ত আর নেই। তাদের মতোই দুই বন্ধু তুলে নিল ক্লাবের দায়িত্ব। সভাপতি দেবাশিস দত্ত, সচিব সৃঞ্জয় বসু। মোহনবাগানে নির্বাচনী আবহে দুই বন্ধুই ‘সচিব’ পদের লড়াইয়ে শত্রু হয়ে উঠেছিল। অবশেষে হাতে হাত মিলিয়েছেন। বন্ধু সৃঞ্জয়কে ছেড়ে দিতে বাধ্যই হয়েছেন (যদিও বলা হচ্ছে সমঝোতা) দেবাশিস দত্ত। অন্যদিকে, সৃঞ্জয়ও কথা রাখলেন সচিব হয়ে। তাঁর নতুন কমিটি দেবাশিস দত্তকেই সর্বোচ্চ সাম্মানিক পদ সভাপতির পদে বসালেন। যে পদে এতদিন ছিলেন টুটু বসু। সোমাবার দুপুরে মোহনবাগান ক্লাবে অনুষ্ঠিত হয় কর্মসমিতির বৈঠক। বৈঠক থেকে মোহনবাগান সভাপতি হিসাবে দেবাশিস দত্তর নাম ঘোষণা করেন সৃঞ্জয় বসু। আর সভাপতি হিসাবে দেবাশিস দত্তর নাম মেনে নেন উপস্থিত সকল সদস্যই। এরসঙ্গেই ঘোষণা করা হয়  সহ-সভাপতির নাম। সেইসঙ্গে কো-অপ্ট সদস্য ও ইনভাইটি সদস্যদেরও অন্তর্ভুক্ত করা হয়। গতবারের মতোই এবারও পাঁচজন সহ সভাপতি থাকছেন বাগানে।সহ-সভাপতি পদে এবার দেখা যাবে সৌমিক বসু, মানস ভট্টাচার্য, উত্তমকুমার সাহা, কুণাল ঘোষ ও দেবাশিস মিত্রকে। বৈঠকেই জানিয়ে দেওয়া হয় প্রাক্তন সভাপতি টুটু বসুকে কোন পদ দেওয়া হবে, সেই নিয়ে আলোচনা পরে হবে। নতুন সচিব সৃঞ্জয় বসু জানান, ‘তিনি কোনও পদে না থেকেও সব সময় আমাদের সঙ্গে থাকবেন।’  বাগানে কো অপ্ট করে আনা হয়েছে দেবাশিস রায়, অভিজিৎ ব্যানার্জী ও সঞ্জয় ঘোষকে। এছাড়াও চারজনকে ইনভাইটি সদস্য করা হয়। সৃঞ্জয় আরও বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য ছিল, কমিটিতে মহিলাদের অন্তর্ভুক্তি। সেই লক্ষ্যেই আমরা সোহিনী মিত্র চৌবে এবং দীপিকা দাসকে রেখেছি’। এদিন তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, ‘পড়শি ক্লাব ইস্টবেঙ্গল থেকে কোনও শুভেচ্ছা বার্তা এসেছে কি না। তাতে তিনি বলেন, কোনও শুভেচ্ছা বার্তা আসেনি এখনও। সবুজ-মেরুন সমর্থকদের দীর্ঘদিনের একটি দাবি নিয়ে আশার বাণী শুনিয়েছেন মোহনবাগান সচিব। তিনি বলেছেন, ‘আইএসএল শিল্ড এবং ট্রফি কীভাবে ক্লাবে ফিরিয়ে আনা যায় তা নিয়ে আলোচনা হবে।’

About The Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *