টুটুদা সচিব পদে দাঁড়ালে, আমি নির্বাচনে সরে দাঁড়াব, ঘোষণা দেবাশিসের

মিত্র পরিবারে ভাঙন, বসু পরিবারে ভাঙন, সর্বোপরি বাগানে ভাঙন। মূলে একজনই, তিনি দেবাশিস দত্ত। মোহনবাগান সভাপতি পদে ইস্তফা দিয়ে যখন ছেলে সৃঞ্জয় বসুর হয়ে জয়গান গাইলেন টুটু বসু, তখন দেবাশিস দত্তকে ‘কালপ্রিট’ করে ছেড়েছিলেন তিনি সাংবাদিক সম্মেলনে। ঢিল ছুড়লে যেমন পাটকেল সহ্য করতে হয়, তেমন ধরণেরই জবাব দেবেন দেবাশিস দত্ত এমনটাই অনুমান করা গিয়েছিল। কিন্তু হল একেবারে উল্টোটা। বাগানের সচিব দেবাশিস দত্ত যেন বাগানের ফোটা ফুলই তাঁকে উপহার দিলেন। বলে দিলেন, ভবিষ্যতে কমিটিই নির্ধারণ করবে কে সভাপতি হবে, তবে তাঁর ব্যক্তিগত মত থাকবে টুটু বসুর জন্যই। বৃহস্পতিবার ক্রীড়া সাংবাদিক ক্লাবে যখন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলেন, তখন মাথার ওপর টাঙানো প্রয়াত অঞ্জন মিত্রের ছবি। কী কাজ করেছেন, কী কাজ করবেন তারই ইস্তাহার জানালেন দেবাশিস দত্ত। গুরুদক্ষিণা শুধু অঞ্জন মিত্রকেই দিচ্ছেন তা নয়, একইসঙ্গে টুটু বসুর জন্যও আনুগত্য প্রকাশ করতে দ্বিধা করেননি। বললেন, তাঁর ছবিও রাখতাম কিন্তু তিনি নিজেই ইস্তফা দেওয়ার পর জানিয়ে দিয়েছেন একটা পক্ষের হয়েই প্রচার করবেন। তাই রাখিনি। বিরোধী জেনেও এত শ্রদ্ধা!

দেবাশিস দত্ত জানিয়েই দিলেন, অঞ্জন মিত্র-টুটু বসুদের হাত ধরেই মোহনবাগান করা। টুটু বসু নিজে যদি তিন বছরের জন্য সচিব পদে বসতে চান তাহলে প্রতিদ্বন্দ্বিতার কোনও প্রশ্নই নেই। জানান, ‘আমার সঙ্গে টুটুদার কোনওদিন লড়াই হতে পারে না’। সাফ বলেন, ‘টুটুদা যদি ইলেকশনে দাঁড়ান, সচিব পদে লড়তে চান, তিন বছর চালাতে চান আমি ইলেকশনে লড়ব না। তাঁকে লিখিত দিতে হবে তিনি তিন বছর চালাবেন’। দেবাশিস দত্ত আরও জানান, ‘২০১৮ সালে টুটু বসু ছ’মাস পর নিজে সচিব পদ ছেড়ে ছেলেকে দিয়ে দিয়েছিলেন। উনি যদি এটা লিখিতভাবে সদস্যদের গ্যারান্টি দেন তাহলে আমি ইলেকশনে লড়ব না’। এদিন প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, সত্যজিৎ চট্টোপাধ্যায় সহ মানস ভট্টাচার্য ছিলেন মোহনবাগানের ইস্তাহার প্রকাশে। এই মাসেই নমিনেশন দেওয়ার দিন ঘোষণা হতে পারে। পরিস্থিতি যা, জুন মাসেই হবে নির্বাচন। দেবাশিসের বিপক্ষে এখনও পর্যন্ত লড়াই করার কথা সৃঞ্জয় বসুর। দু’পক্ষই নিজেদের সমর্থনে প্রচার সারছেন।