ইঞ্জিনিয়ার,জাতীয়স্তরের ভলিবলার বাসবরাজুই নিহত মাওবাদী নেতা কেশব রাও!

খতম মাওবাদী নেতা নামবালা কেশব রাও ওরফে বাসবরাজু। ছত্তিশগড়ের বিজাপুর জেলার ঘন জঙ্গলে সম্প্রতি একটি তীব্র এনকাউন্টারে কুখ্যাত মাওবাদী কমান্ডার কেশব রাও ওরফে বাসবরাজু নিহত হয়েছেন। ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর জন্য একটি বড় সাফল্য বলে উল্লেখ্ করেছেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি সমাজমাধ্যমে লেখেন, ‘ছত্তিশগড়ের নারায়ণপুরে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে ২৭ জন মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সিপিআই-মাওবাদীর সাধারণ সম্পাদক নাম্বালা কেশব রাও ওরফে বাসবরাজু। নকশালবাদের বিরুদ্ধে তিন দশকের লড়াইয়ে এই প্রথম আমাদের বাহিনীর অভিযানে সাধারণ সম্পাদক পদমর্যাদার কোনও মাওবাদী নেতার মৃত্যু হয়েছে।’ বাসবরাজু মাওবাদীদের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তাঁর মাথার দাম ছিল ১ কোটি টাকা। ফলে এই শীর্ষ মাওবাদী নেতাকে খতম করতে পারা নিরাপত্তারক্ষীদের পক্ষে বড় সাফল্য। সাতের দশক থেকে নকশালদের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বাসবরাজু। সারা দেশে নিরাপত্তাবাহিনী দীর্ঘদিন ধরে তাঁকে খুঁজছিল। নিরাপত্তাবাহিনীর তরফে জানা গিয়েছে, বুধবার গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ছত্তিশগড়ের অবুজমাঢ় এলাকায় অভিযানে নামে নিরাপত্তাবাহিনী। খবর ছিল, ওই এলাকায় লুকিয়ে রয়েছে এক মাও কমান্ডার। সেইমতো এলাকা ঘিরে ফেলে শুরু হয় তল্লাশি অভিযান। এরপরই শুরু হয় দু’পক্ষের গুলির লড়াই। ১২ ঘণ্টা ধরে চলা গুলির লড়াইয়ে মাওবাদীদের সংগঠনের প্রধান নাম্বালা কেশব রাও ওরফে বাসবরাজুর দেহ শনাক্ত করা হয়। মৃত্যু হয়েছে দুই জওয়ানেরও।
পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৫৫ সালের ১০ জুলাই অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীকাকুলামে জিয়ান্নাপেটা গ্রামে জন্ম বাসবরাজুর। পড়াশুনোয় অত্যন্ত মেধাবী ছিলেন বাসবরাজু। ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বিটেক ডিগ্রিও ছিল তাঁর। শুধু কী তাই, খেলাধুলোতেও ছিল অত্যন্ত প্রতিভাবান। রাজ্য ভলিবল দলে অন্ধ্রপ্রদেশের ক্যাপ্টেন ছিল সে। ছাত্র জীবন থেকেই বামপন্থী রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়ে বাসব। ১৯৮০ সালে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের সদস্যদের সাথে সংঘর্ষের পর তাকে একবার গ্রেপ্তার করা হয়।সেইবছরই সরাসরি মাওবাদী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়ে। যা দীর্ঘ ৩৫ বছর করে গেছে।এই অভিযানের পরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সমাজমাধ্যমে লিখেছেন, ‘দেশকে নকশালবাদ থেকে মুক্ত করতে এটা একটা উল্লেখযোগ্য সাফল্য’।