ভারত-পাক ম্যাচ ঘিরে চর্চা, আগ্রাসনই হবে শেষ কথা, সাফ বক্তব্য সূর্যকুমার
এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক: বুধবার সংযুক্ত আরব আমিরশাহির বিরুদ্ধে এশিয়া কাপে অভিযান শুরু করবে ভারত। তবে আকর্ষণের কেন্দ্রে এই ম্যাচ নয়, ভারত-পাক লড়াই। আগামী রবিবার মুখোমুখি হবে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশ।যে ম্যাচ নিয়ে আগেভাগেই হুঙ্কার দিয়ে রাখলেন ভারত অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব। এবারের ভারত-পাক লড়াই যে অন্য মাত্রা নেবে তা বলাই বাহুল্য। পহেলগাঁও কাণ্ড থেকে অপারেশন সিঁদুর, রাজনৈতিক উত্তেজনা ক্রমশ বেড়েছে দু’দেশের। ভারত-পাকিস্তানের রাজনৈতিক লড়াইয়ের দড়ি–টানাটানিতে গত মে মাসেও যে টুর্নামেন্ট ঘিরে ছিল ঘোর অনিশ্চয়তা। সেই আশঙ্কার মেঘ কেটে অবশ্য ১৪ সেপ্টেম্বর নিরপেক্ষ ভেন্যুতে মুখোমুখি হচ্ছে দুই দেশ।
দ্বিপাক্ষিক সিরিজ থেকে দূরে সরে থাকা ভারত, পাকিস্তানকে আইসিসির টুর্নামেন্টের বাইরে ম্যাচ খেলাতে নামাতে পারে আর একটি টুর্নামেন্টই, তা হল এশিয়া কাপ। অধিনায়কদের বৈঠকে সূর্যকুমার যাদব ইঙ্গিত দেন আগ্রাসী ক্রিকেটের। পাক অধিনায়ক সলমন আলি আঘাও বুঝিয়ে দেন, তিনি পিছিয়ে যাবেন না। সূর্যকুমার বলেন, ‘মাঠে সব সময়ই আগ্রাসন থাকে। আগ্রাসন ছাড়া খেলা সম্ভব নয়। আমি এশিয়া কাপে নামার জন্য ভীষণ উত্তেজিত।’ সলমন আবার পাল্টা বলেছেন, ‘এ বিষয়ে আলাদা করে কাউকে কিছু বলার দরকার নেই। যদি কেউ আক্রমণাত্মক হতে চায়, তারা স্বাগত। তবে যতক্ষণ লড়াই মাঠের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে, ততক্ষণ আমার পক্ষ থেকে কোনও বাধা নেই।’ দুবাইয়ে অধিনায়কদের সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেও অবশ্য পাশাপাশি বসতে দেখা যায়নি দুই অধিনায়ককে। ভারত অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব এবং পাকিস্তানের অধিনায়ক সলমন আলি আঘার মাঝে বসানো হয় আফগানিস্তানের অধিনায়ক রশিদ খানকে। সৌজন্য মেনে হাত মেলানো বা জড়িয়ে ধরা-কিছুই করতে দেখা যায়নি সূর্য এবং সলমনকে। এরই মধ্যে পাক মন্ত্রী তথা এসিসি চেয়ারম্যান মহসিন নকভির সঙ্গে হাত মিলিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছেন সূর্য।