হ্যান্ডশেকে তাচ্ছিল্য! ভাইরাল ভিডিও দেখেই ব্যাখ্যা পাক টেনিস খেলোয়াড়ের
স্পোর্টস ডেস্ক: জঙ্গিদের নৃশংস হত্যালীলা, পাকিস্তানের প্রশ্রয়, ভারতের প্রতিশোধ- সব নিয়ে ক্রমশ উত্তাপ ছড়িয়েছে। তাতে দু’দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক তো বটেই, খেলার পরিবেশও আর নেই। তবু বিশ্ব টুর্নামেন্টে মুখোমুখি হতেই হচ্ছে ভারত-পাক খেলোয়াড়দের। আর সেখানেই অভব্যতা! মেনে নেবেন কেন নেটিজেনরা! প্রবল সোচ্চার তারা। উঠেছে নিন্দের ঝড়। ঘটনায় যতটুকু ক্লিপিংস ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, তাতে তাই স্বাভাবিক। ঘটনাটা কাজাখস্তানে এশিয়া-ওশেনিয়া অনূর্ধ্ব-১৬ ডেভিস কাপে। ম্যাচে জিতেছে ভারত। আর খেলার শেষেই অখেলোয়াড়সুলভ আচরণ করতে দেখা যায় পাক টেনিস খেলোয়াড়কে।
যা মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। দেখা গেছে, প্রথা অনুযায়ী খেলার পর হ্যান্ডশেক করার জন্য দুজনই নেটের কাছে এগিয়ে যায়। কিন্তু প্রথমে হাত মেলায়নি পাকিস্তানি প্রতিপক্ষ। কিন্তু মেজাজ হারাননি ভারতীয় প্লেয়ার। ঠান্ডা মাথায় প্রতিপক্ষের জন্য নেটের সামনেই অপেক্ষা করেন। এমন আচরণ দেখে, ভিডিও ক্লিপিংসেই একজনকে মিকা (পরে জানা যায়, পাক খেলোয়াড়ের মা) বলে ডেকে ধমক দিতে। তাতেই যেন হুঁশ ফেরে। ফের ফিরে আসেন।দ্বিতীয়বারেও ভারতীয় খেলোয়াড়ের হাতে আঘাত করেন। পরে আবার তৃতীয়বার হাত মেলালেও তা মোটেও খেলোয়াড়সুলভ মানসিকতার পরিচয় ছিল না, বরং সেই হ্যান্ডশেকে ঝরে পড়ছিল তাচ্ছিল্য এবং অসম্মান। এমনিতেই পহেলগাঁও হামলা এবং তারপরে অপারেশন সিঁদুর ঘিরে গত একমাস ধরে ভারত-পাক সম্পর্কে ব্যাপক অবনতি ঘটেছে। এই ক্লিপিংস যেন ঘৃতাহুতি দেয়। ভিডিও ভাইরাল হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন নেটিজেনরা। যেভাবে প্রতিপক্ষকে অসম্মান করেছেন পাক প্রতিযোগী, সেই আচরণকে ধিক্কার জানিয়েছেন অনেকেই। কিন্তু এই ক্লিপিংসের বাকি অংশ ভাইরাল হয়নি। আর সেখানেই পাকিস্তান টেনিস ফেডারেশন (পিটিএফ)এর দাবি, ভিডিওটা অর্ধসত্য। আর সে’কারণেই চূড়ান্ত ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে।

আসলে, নিজের পারফরম্যান্সে হতাশ হয়েই হিট অফ দ্য মোমেন্টে এই কাণ্ড ঘটান মিকাইল। পিটিএফ সূত্র মতে, যে ভিডিওর বাকি অংশে ছিল ১৫ বছর বয়সী পাক খেলোয়াড় মিকাইল আলী বেইগ নিজেই ভারতীয় খেলোয়াড়কে বলেছেন, ‘আমি তোমার উপর রাগ করিনি, আমি নিজের উপর রাগ করি’। মিকাইল নিজেও তা স্বীকার করেন। ভাইরাল ভিডিও ক্লিপিংসেই তিনি কমেন্টসে জানান, ‘প্রথমে আমি ভুল করেছিলাম। আপনারা আমার মাকেও ভিডিওর পিছনে চিৎকার করতে শুনতে পাচ্ছেন। আসলে আমি হেরে যাওয়ায় নিজের ওপর বিরক্ত হয়েছিলাম। যখন আমি ভুল করি তখন আমি স্বীকার করি এবং একজন খেলোয়াড় হিসেবে আমি গিয়ে ভারতীয় দলের অধিনায়ক এবং খেলোয়াড়দের কাছে ক্ষমা চেয়েছিলাম। আমার বেশিরভাগ বন্ধু ভারতীয় এবং এর সাথে ভারত-পাকিস্তানের কোনও সম্পর্ক ছিল না’। পিটিএফ সভাপতি আইসাম উল হক কুরেশি দাবি করেন, ‘যদি কোনও অসদাচরণ হত, তাহলে আন্তর্জাতিক টেনিস ফেডারেশন ব্যবস্থা নিত—কিন্তু ঘটনাটি তা ছিল না’।