হাওয়া বদল পাকিস্তানে! পেশোয়ারে রাজ–দিলীপের ভিটে কি ফিরছে নিজেদের পরিচয়ে?

0

এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক: পেশোয়ারের কিসসা খাওয়ানি বাজার—সেই গলি, যেখানে দাঁড়িয়ে আছে দুটো নীরব বাড়ি। একটায় জন্মেছিলেন রাজ কাপুর। আরেকটায় কেটেছিল দিলীপ কুমারের শৈশব। তখনও তাঁদের নাম দুনিয়া জানত না। জানত না ‘আওয়ারা’, ‘শ্রী ৪২০’ বা ‘মধুমতী’, ‘মুগল-এ-আজম’ কী রকম করে ভারতের সিনেমাকে বদলে দেবে।

বছরের পর বছর এই ঘরদুটো দাঁড়িয়ে আছে স্মৃতি হয়ে—ধুলোয় ঢাকা, ভাঙনের মুখে। কখনও গুজব উঠেছে শপিং প্লাজা হবে, কখনও স্থানীয় আবাসিকদের চোখ পড়েছে এই জায়গায়।

বিংশ শতাব্দীর গোড়ায়, ১৯১৮-২২ সালের মধ্যে তৈরি হয়েছিল রাজ কাপুরের পৈতৃক হাভেলি। তাঁর ঠাকুরদা দিওয়ান বিশ্বেশ্বরনাথ কাপুরের হাতে তৈরি সেই বাড়ি, যেখানে রাজ কাপুরের জন্ম। সেই গলির আরেক মাথায় বাস করতেন মহম্মদ ইউসুফ খান, যাঁকে সারা ভারত চেনে দিলীপ কুমার নামে।

অবশেষে ঘুম ভাঙল প্রশাসনের। খাইবার পাখতুনখাওয়া সরকার সাত কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে এই বাড়ি দু’টি হেরিটেজ জাদুঘরে পরিণত করতে। সোমবার থেকেই শুরু হয়েছে কাজ এবং আগামী দুই বছরের মধ্যে শেষ করার লক্ষ্য রেখেছে সরকার ।

প্রত্নতত্ত্ব দপ্তরের ডিরেক্টর ড. আবদুস সামাদের কথায়, বাড়ির মূল কাঠামো অক্ষুণ্ণ রেখে ফিরিয়ে আনা হবে অতীতের সৌন্দর্য—এটাই প্রধান লক্ষ্য। পাশাপাশি, এই প্রোজেক্ট হেরিটেজ ট্যুরিজম ও স্থানীয় অর্থনীতির পালে দেবে নতুন হাওয়া।

২০১৪ সালের ১৩ জুলাই, পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ এই ঘরদুটিকে জাতীয় ঐতিহ্য ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু ঘোষণার পর দীর্ঘ সময় কোনও কাজ হয়নি।

এ বার বোধহয় বদল আসছে—মনে করছে অনেকেই। ‘আন্দাজ’-এর ট্র্যাজেডি কিং বা ‘ববি’র চিরসবুজ রোম্যান্স ফিরবে স্মৃতির আঙ্গিনায়।

About The Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *