পাটনার বিমানবন্দরেই ১৪ বছরের বৈভবের সঙ্গে দেখা প্রধানমন্ত্রীর

মাত্র ১৪ বছর বয়সি বৈভব সূর্যবংশীর ব্যাটিংয়ে মুগ্ধ গোটা বিশ্ব। তারিফ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। এবারে বিহারের ঝটিকা সফরে গিয়ে বৈভবের সঙ্গে দেখা হল প্রধানমন্ত্রীর। শুক্রবার বিহারের কারাকাটের জনসভা করতে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেই সময়েই পাটনা বিমানবন্দরে বিহারের ভূমিপুত্র বৈভবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি। সেই ছবি সমাজমাধ্যমে শেয়ারও করেন নরেন্দ্র মোদী।তিনি সমাজমাধ্যমে লেখেন, ‘পাটনা বিমানবন্দরে তরুণ ক্রিকেট প্রতিভা বৈভব সূর্যবংশী এবং তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করলাম। তাঁর ব্যাটিং দক্ষতা আজ গোটা দেশের প্রশংসা কুড়োচ্ছে! আগামী দিনের জন্য ওঁকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা’।
গত বছর জেদ্দায় অনুষ্ঠিত মেগা নিলামে মাত্র ১৩ বছর বয়সেই রাজস্থান রয়্যালস তাঁকে ১.১ কোটি টাকায় দলে নেয়। লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে নিজের আইপিএল অভিষেক ম্যাচেই বাজিমাত করেন বৈভব। এরপরই লাইমলাইটে চলে আসেন ১৪ বছরের কিশোর। শার্দুল ঠাকুরের প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকিয়ে আইপিএল কেরিয়ারের শুরু। এরপর গুজরাট টাইটান্সের বিরুদ্ধে মাত্র ৩৫ বলে শতরান করে গড়েন আইপিএলের ইতিহাসে ভারতীয় ব্যাটারদের মধ্যে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড। তারপর আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। তিনি দুর্দান্ত পারফর্ম করলেও, তার দল অবশ্য এবারের আইপিএলে সাফল্য পায়নি। গ্রুপপর্বেই বিদায় নেয় রাজস্থান।
বৈভব ৭টি ম্যাচে ৩৬ গড়ে করেন ২৫২ রান, স্ট্রাইক রেট ২০৬.৫৫। চলতি আইপিএলে নিজের শেষ ম্যাচে চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধেও মাত্র ৩৩ বলে ৫৭ রান করে বৈভব। গোটা দেশ যখন বৈভবকে নিয়ে চর্চায় মেতেছিল, তখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন, ‘আমরা সকলেই বৈভব সূর্যবংশীর পারফরম্যান্স দেখেছি। আইপিএলে অসাধারণ খেলছে। বিহারের ছেলে বৈভব এত অল্প বয়সেও এত বড় রেকর্ড তৈরি করেছে। অনেক পরিশ্রমের ফসল এটা। বিভিন্ন স্তরে ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতাও এক্ষেত্রে কাজে লেগেছে’। ভাল পারফরমেন্সের সুবাদেই টিম ইন্ডিয়ার অনুর্ধ্ব ১৯ দলেও সুযোগ দেওয়া হয়েছে তাঁকে। রাজস্থানের বিদায়ের পর নিজের বাড়িতে ফিরে যান বৈভব। এবার পরিবার নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখাও করলেন।