বাংলাদেশে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল রবীন্দ্রনাথের পৈতৃক ভিটে, প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন!
এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক: ইউনুসের বাংলাদেশ থেকে যেন অরাজকতা মুছে যাওয়ার নামই নেই। ধূলিসাৎ হয়েছে মন্দির-গির্জা। এমনকি রেহাই পায়নি শিল্পীদের ভিটেও। এ বার ভাঙচুর চালানো হল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পৈতৃক ভিটেতে। আপাতত অনির্দিষ্টকালের জন্য দর্শনার্থীদের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সেই স্থান।
ও পার বাংলার সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার রবীন্দ্রনাথের পৈত্রিক ভিটে কাছারিবাড়িতে প্রতিদিন ভিড় জমান বহু দর্শনার্থীরাই। ইন্দো-ইউরোপীয় স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত দোতলা বাড়িটি আজও পদ্মা পাড়ের অন্যতম আকর্ষণ। এই মুহূর্তে তার দেখাশোনার দায়িত্বে রয়েছে বাংলাদেশ সরকারের প্রত্নতত্ব বিভাগ। মঙ্গলবার দুপুরে পার্কিং সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে ঝামেলার সূত্রপাত। ওই দিন, সেখানে ঘুরতে আসা এক পরিবারের সঙ্গে বচসা বাঁধে বাড়িটির দায়িত্বে থাকা সরকারি কর্মীদের। তার পরেই বাড়ে অশান্তি। বিশ্ববন্দিত রবি ঠাকুরের পৈত্রিক ভিটেতে দাঁড়িয়েই স্লোগান ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। ভেঙে ফেলা হয় জানালা এবং বাড়ির আসবাবপত্র।
সংবাদ সংস্থা ‘পিটিআই’-এর এক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে, একজন দর্শনার্থী এবং তাঁর পরিবার কাছারিবাড়ি দেখতে গিয়েছিলেন। সেই সময় মোটরসাইকেলের পার্কিং মূল্য নিয়ে একজন কর্মচারীর সঙ্গে তাঁদের ঝগড়া বাঁধে। আরও জানা যায়, সেই বচসার পর দর্শনার্থীকে অফিসের একটি কক্ষে বন্দি করে রাখা হয় এবং নানা ভাবে চলে লাঞ্ছনা। এই ঘটনার পর স্থানীয়রা ছুটে আসতেই প্রেস ক্লাবের সামনে শুরু হয় বিক্ষোভ। ওই পরিবারটির লোকজন দলবল নিয়ে হামলা চালায়।
এখানেই প্রশ্ন উঠতে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে। এমন জটিল পরিস্থিতির সময় কোথায় ছিল পুলিশ? কেনই বা এত কিছুর পর পদক্ষেপ করা হল না দ্রুত? ‘বিএসএস’ সংবাদ সংস্থা অনুযায়ী খবর, আর্কিওলজি বিভাগ তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। আগামী ৫ দিনের মধ্যে জমা দিতে হবে রিপোর্ট।