রোলাঁ গারোঁয় গ্র্যান্ড ফেয়ারওয়েল নাদালের, একফ্রেমে ‘বিগ ফোর’, ফিরল স্মৃতি

0

স্পোর্টস ডেস্ক: আবার দেখা যদি হল সখা প্রাণের মাঝে আয়…
এ যেন তেমনই। টেনিস জগতের সর্বশ্রেষ্ঠ চার নক্ষত্র। পাশাপাশি। হাসি থেকে কান্না। মধুর স্মৃতি। মন ভারাক্রান্তের বিদায়। অবসর নিয়েছেন আগেই। এবার রাফায়েল নাদালকে বিদায় সংবর্ধনা দিল ফ্রেঞ্চ ওপেন। তাঁকে দিতেই হবে যে বিশেষ সংবর্ধনা। কারণ বর্তমান টেনিস ইতিহাসে তিনিই যে ক্লে কোর্টের রাজা। এখানেই যে কেরিয়ারে সবচেয়ে বেশি ১৪টি গ্র্যান্ড স্লাম জিতেছেন তিনি। প্যারিসে নাদাল ১১২টা ম্যাচ জিতেছেন ও হেরেছেন মাত্র ৪টেতে। ২০০৫ সালে তিনি প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যাম জেতেন।

এর পর আরও ১৩ বার তিনি জেতেন ফরাসি ওপেন। তাঁর বিদায় সংবর্ধনাতেই ফের একসঙ্গে দেখা গেল ‘বিগ ফোর’কে। অ্যান্ডি মারে, রজার ফেডেরার, রাফায়েল নাদাল ও নোভাক জকোভিচ। যেখানে জকোভিচের ২৪, নাদালের ২২ ও ফেডেরারের ২০টির তুলনায় মারের খেতাব খুবই কম, মাত্র ৩টি। কিন্তু মারে এসে যোগ দিয়েছেন শুধুই বন্ধুত্বের টানে। বিদায় বেলায় স্মৃতি রোমন্থন করতে গিয়েই একসময়ের তিন প্রতিদ্বন্দ্বীর দিকে দুহাত বাড়িয়ে দেন নাদাল। জড়িয়ে ধরে কাঁদলেন। ভক্তদের আবেগে ভাসলেন। ৩৭ বছর বয়সী নাদাল বলেন, ‘এই সব বছর আমরা একে অপরের বিরুদ্ধে লড়েছি, অথচ সময় সব কিছু বদলে দেয়। প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে আজ এক বন্ধুত্বের গল্প… আমরা কেবল টাইটেলের জন্য লড়িনি, পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেছি। আজ তোমরা এখানে—এটাই আমার জন্য অনেক বড় পাওয়া।’ আবেগঘন আলিঙ্গনে জড়িয়ে ধরেন ফেডেরার।এরপর আলিঙ্গন জকোভিচ ও মারের সঙ্গেও। নাদালের জন্য প্রস্তুত ছিল এক অনন্য আয়োজন। ১৫ হাজার দর্শককে দেওয়া হয়েছিল রোলাঁ গারোর রঙে রাঙানো টি-শার্ট, যেন পুরো স্টেডিয়ামই হয়ে ওঠে ক্লে কোর্টের প্রতিচ্ছবি।

‘রাফা! রাফা! রাফা!’—ধ্বনিতে মুখরিত চারপাশ, যখন স্যুট-পরা নাদাল আবির্ভূত হন। ছিলেন তরুণ কার্লোস আলকারাজ। ক্লে কোর্টের স্ক্রিন জুড়ে তখন শুধু নাদালের ক্লিপিংস। সেই চেনা রাফা। ঠোঁট কামড়ানো থেকে চোখে জল। দীর্ঘক্ষণ একনাগাড়ে দাঁড়িয়ে শুনলেন দর্শকদের করতালি। ফরাসি টেনিস ফেডারেশন তুলে দিল রুপোর তৈরি নাদালের পায়ের ছাপ, যা সংরক্ষিত হবে চিরতরে ফিলিপ শাত্রিয়ের কোর্টে। আর যে স্কোরবোর্ডে দেখা যাবে না নাদালের নাম।

About The Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *