শ্রোতারাই ভগবান! নতুন প্রজন্ম জানুক ‘মিউজিক ডে’ বলেও একটা দিন আছে: রাঘব চট্টোপাধ্যায়
এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক: কেউ মনে করেন, বছরের প্রতিটা দিনই ‘সঙ্গীত দিবস’, আবার কারও কাছে এই বিশেষ দিনটির তাৎপর্য নেই বিশেষ। এ ক্ষেত্রে শিল্পী রাঘব চট্টোপাধ্যায়ের অবস্থান কিন্তু একটু দূরেই। ২১ জুন, শনিবার, বিশ্ব সঙ্গীত দিবস। গায়কের কথায়, বছরের এই একটা দিন গানের উদযাপন করা গেলে তা মন্দ হয় না।
এ দিনেও আডিশনের তরফে যখন রাঘবের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়, তখন তিনি গানের রেওয়াজে মগ্ন। ব্যস্ততার ফাঁকেও তিনি কথা বলেন আমাদের সঙ্গে। তাঁর কাছে আলাদা করে এই দিনটির তাৎপর্য কী? উত্তরে তিনি বলেন, “আমরা ছোটবেলা থেকে এই বিষয়ে তেমন জানতাম না। সঙ্গীত দিবসের ধারণাটা বিদেশ থেকে এ দেশে এসেছে।”
গায়কের মতে, “আমার মনে হয়, গান-বাজনার সঙ্গে যুক্ত মানুষদের কাছে প্রত্যেকটা দিনই ‘মিউজিক ডে’। কিন্তু সাধারণ মানুষ বা সাধারণ শ্রোতা, অনুরাগী- তাঁদের কাছে এই দিনটা বেশি উল্লেখযোগ্য। কারণ সঙ্গীতের জন্য যাঁরা নিবেদিত প্রাণ, যাঁরা সঙ্গীত শুনতে ভালবাসেন, যাঁদের জন্য আজ আমরা আছি, সেই শ্রোতারাই হল আমাদের কাছে ভগবানের সমান। তাঁদের জন্যেই এই দিনটি বেশি পরিচিতি পেয়েছে। আমি চাই আরও পরিচিতি পাক। নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা জানুক যে ‘বিশ্ব সঙ্গীত দিবস’ বলে একটা দিন আছে, মাতৃ দিবস এবং পিতৃ দিবসের মত।”
অন্য দিকে, ২১ জুন যে শুধু সঙ্গীত দিবস, এমনটা নয়। এই দিনটি কিন্তু পালিত হয় ‘যোগ দিবস’ হিসবেও। এই দু’য়ের মধ্যেও বিশেষ ‘যোগ’ খুঁজে পান রাঘব চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “আমি মনে করি গান-বাজনা এবং যোগ দিবসের একটা বড় যোগসূত্র আছে। দু’টি দিনই কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণভাবে উল্লেখযোগ্য। তাই দু’টি বিষয়কেই সমানভাবে উদযাপন করা উচিত। আমরা যদি সারাবছর মনে করি যে আমাদের প্রতিটা দিন সঙ্গীতময় থাকুক এবং প্রতিটা দিন যোগ-ব্যায়াম করে নিজেদের সুস্থ রাখব, তা হলে এর থেকে ভাল কিছু হয় না!”
গায়কের কাছে ‘গান’ আসলে কী? রাঘবের সোজাসাপটা উত্তর, “আমার কাছে গান একটা বিরাট পরিত্রাণ। এক প্রকার মানসিক শান্তি। আমার মনে হয়, এক ঘণ্টা ঠাকুরঘরে বসা এবং এক ঘণ্টা গান মন দিয়ে গান শোনা- দু’টোই এক। এটা আমার ব্যক্তিগত বিশ্বাস। আমি কিন্তু নিজেই ঠাকুর ঘরে বেশিক্ষণ বসি না। সেই সময়টা আমি কখনও গিটার নিয়ে বসছি, কখনও তানপুরা নিয়ে বসছি, কখনও বা গানের সুর ভাবছি। আর আমার কাছে এটাই মুক্তি।”
অনেকেই মনে করেন, উদযাপনের জৌলুসের আড়ালে ঢাকা পড়ে যাচ্ছে ঐতিহ্য। রাঘবও কি এমনটা মনে করেন? গায়কের কথায়, “আমি মনে করি না যে এটা শুধুই শো অফের জন্য পালন হয়। এই দিনটা আরও বেশি করে পালন করা উচিত। যদি এই উদযাপনটা আনুষ্ঠানিকভাবে হয়, তা হলে সেটা খারাপের কী? দিনের শেষে তো গানেরই ভাল হচ্ছে আর আমাদেরও ভাল হচ্ছে।”