‘আমি ওকে বাংলা শেখাতাম…’ আডিশনের কাছে স্মৃতিচারণায় মুকুলের বাংলা ছবির নায়িকা ঋতুপর্ণা

0

এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক: ফের বলিউডে নক্ষত্র পতন। গত শুক্রবার মাত্র ৫৪ বছর বয়সেই প্রয়াত হন জনপ্রিয় তারকা মুকুল দেব। নায়ক হিসেবে বলিউডে ‘দস্তক’ দিলেও বাংলা ছবির জগতেও কিন্তু বেশ পসার জমিয়েছিলেন তিনি। এর মধ্যে অন্যতম একটি ছবি হল ‘অভিসন্ধি’। সেই ছবিতেই একসঙ্গে কাজ করেছেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। সহ-অভিনেতার মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ অভিনেত্রীও।

আডিশনের তরফ থেকে যোগাযোগ করা হয়েছিল ঋতুপর্ণার সঙ্গে। সহ-অভিনেতার এমন আকস্মিক প্রয়াণ মেনে নিতে পারছেন না তিনি। আডিশনকে ঋতুপর্ণা বলেন, “খুবই দুর্ভাগ্যজনক। আমি মুকুলের সঙ্গে ‘অভিসন্ধি’ ছবিতে কাজ করেছিলাম। সম্ভবত, ওটাই ওর প্রথম বাংলা ছবি ছিল। খুব ভাল অভিনয় করেছিল ও। পরিচালক তরুণদাও খুব দুঃখিত হবেন খবরটা পেলে।”

স্মৃতির পাতা ঘেঁটে অভিনেত্রী বলে চললেন, “আমার এখনও মনে আছে, ছবিতে আমার চরিত্রটির নাম ছিল ‘রুদ্রাণী। আর মুকুল আমার ক্লায়েন্টের চরিত্রে অভিনয় করেছিল। ছবিতে ওর দ্বৈত চরিত্র ছিল। খুবই কঠিন ছিল দুটো চরিত্র ফুটিয়ে তোলা। অনেকেই ছিলেন সেই ছবিতে। শ্রীলা মজুমদার ছিলেন, মনু ভৌমিক ছিলেন। খুবই খারাপ লাগছে। টেলিভিশনেও ওর প্রচুর কাজ দেখেছি। ও এই ভাবে চলে গেল…”

যে মুকুল দেবকে আজকের দর্শক চেনেন পর্দার ‘ভিলেন’ হিসেবে, এক সময়ে তিনিই প্রশংসিত হয়েছে নায়কের চরিত্রে। ঋতুপর্ণা জানান, প্রয়াত অভিনেতাকে নাকি ছবির সেটেই বাংলা শিখিয়েছিলেন তিনি। অভিনেত্রী বলেন, “আমাদের ছবির গল্পটা সময়ের থেকে অনেক এগিয়ে ছিল। আর ওর চরিত্রেও ও নিপুণ। স্প্লিট পার্সোন্যালিটির অভিনয় করা সহজ নয়। আমি ওকে মাঝেমধ্যেই বাংলা শেখাতাম। আর ও খুব আগ্রহ নিয়ে শিখত। আমাদের জন্য একটা বিরাট ক্ষতি।”

জানা যায়, মৃত্যুর আগে দীর্ঘদিন ধরেই নাকি অসুস্থ ছিলেন অভিনেতা। ভর্তি ছিলেন আইসিইউতে। একাধিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, মা-বাবার মৃত্যুর পর শেষ সময়ে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছিলেন মুকুল। আফসোস প্রকাশ করে ঋতুপর্ণা বলেন, “আমি জানতাম না ও অসুস্থ ছিল। মুকুলে্র কথা মাঝখানে শুনিনি বেশি। ওর ভাই রাহুল দেবের কাজ দেখেছি অনেক। ওর পরিবারের জন্য আমার সমবেদনা রইল।”

About The Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *